Sunday, April 15, 2012

চি ঠি প ত্র

সমুদ্রসীমা
জাতিসংঘের সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তিসংক্রান্ত গঠিত ট্রাইব্যুনালের রায়ে বাংলাদেশের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে করে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে যাঁরা এ মামলা নিয়ে লড়েছেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন। একই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে অন্য একটি আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের মামলা এখনো বিচারাধীন।
মিয়ানমারের সঙ্গে ঘোষিত মামলার রায়ে বাংলাদেশের নৈতিক ও প্রত্যাশিত বিজয় বয়ে আনলেও এখনই আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই। এ জন্য ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে মামলার রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ মনে রাখা দরকার, মিয়ানমার ও ভারতকে একই পাল্লায় মাপা বোকামি হবে। কূটনৈতিক দক্ষতার অভাবে দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে আমরা ভারতের সঙ্গে কার্যকর দর-কষাকষি করতে পারিনি। ফলে আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা, উদারতা, সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণকে ভারত অনেক সময়ই যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। অধিকন্তু ট্রানজিটসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের কিছু মন্ত্রী-উপদেষ্টার বিভ্রান্তিকরমূলক মন্তব্য ও বক্তব্যে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গেছে। তাই ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশকে যথাযথ প্রস্তুতি ও প্রতিটি পদক্ষেপ সুচিন্তিত এবং যথাযথ যেন হয়, তা এখন থেকেই নিশ্চিত করতে হবে।
শহীদুল আযম
মিরপুর, ঢাকা।

রেলওয়ের উন্নয়ন
বৃহত্তর রংপুর জেলার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করে। সিএনজি ও জ্বালানি তেলের স্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাসভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজন বাসভাড়া মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাজধানী থেকে উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় যেমন—রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়ে যেতে ৪৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাগছে। ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সরকারি ছুটিতে তো কোনো কথাই নেই।
গত বছরের ২১ আগস্ট সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ঢাকা-রংপুর রুটে ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তনগর ট্রেনের উদ্বোধন করলেও ট্রেনটি নিয়মমাফিক চলাচল করছে না। সময়মতো স্টেশনে পৌঁছায় না, প্রয়োজনের তুলনায় কোচের সংখ্যা অনেক কম, যাত্রীসেবার নাজুক অবস্থা আরও নানা সমস্যা। রেলের এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকা-রংপুর যোগাযোগমাধ্যমে চাপ পড়ছে বাসের ওপর।
আর সম্প্রতি রেলের আলাদা মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে, মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন। তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় রেলের উন্নয়নে স্বল্পমেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি তিনটি ভাগে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমাদের আবেদন, ওই পরিকল্পনার আওতায় রংপুর রেললাইনকে ডাবল লাইনে সম্প্রসারণ, বন্ধ রেলস্টেশনগুলো চালু এবং পর্যাপ্ত রেল সুবিধাসহ যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি করুন।
মো. আবু রায়হান
উন্নয়নকর্মী।

কেন এই বিরোধ?
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেন এত বিরোধ? কী নিয়ে এত কোন্দল? এখনকার আন্দোলন হচ্ছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের। ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের উচিত, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া যে আগে নিজেরা ভাল হব, তারপর অন্যদের কাছ থেকে ভাল আচরণ আশা করব।
জনগণের ভোগান্তি হয় এমন কর্মসূচি কোনো দলের জন্যও ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। তাই সমাবেশ নামে হাঙ্গামা, রেষারেষি, দমন-পীড়ন চললে এবং সমাবেশ ঘিরে শান্তিভঙ্গ ঘটলে দেশটার নির্দিষ্ট গতিপথ হারাতে থাকবে। এ কথাগুলো বারবার প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক সংস্কৃতির রূপ একই ধারাবাহিকতায় চলছে।
এসব থেকে কী শিখছে আজকের প্রজন্ম?
সুরাইয়া খালেদা খানম
ঢাকা।

ফলাফল প্রকাশ করুন
আমরা সম্মান তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছি দীর্ঘ আট মাস আগে। কিন্তু ফল এখনো প্রকাশিত হয়নি। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় মাত্র দুই মাসে, অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সম্মান পরীক্ষার ফল দীর্ঘ আট মাসেও প্রকাশ করা হয়নি। কেন হয়নি? এত দীর্ঘসূত্রতার কারণ কী? কী জন্য ফল প্রকাশে আট মাস লেগে যায়? যাদের গাফিলতিতে ফল প্রকাশে দেরি হয়, তাদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
শিক্ষামন্ত্রী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অবিলম্বে সম্মান তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ করে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত করুন।
দেবাশিস, রুপা, মিঠুন
চাঁদপুর কলেজ।

চাকরির বয়সসীমা
এ দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য। অনেক মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাঁরা সব সময়ই আমাদের পরম শ্রদ্ধার পাত্র।
বর্তমান সরকার শুরুতেই মুক্তিযোদ্ধা-চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স দুই বছর বাড়ায়। কিন্তু সম্প্রতি অন্য সব চাকরিজীবীর চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। ফলে সবাই (মুক্তিযোদ্ধা ও অমুক্তিযোদ্ধা) এখন অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর পাচ্ছেন। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬১ বছর করা হলে তাঁদের প্রতি জাতির আলাদা সম্মান দেখানো হবে; সেই সঙ্গে একজন মুক্তিযোদ্ধার চাকরির মেয়াদ বাড়লে তিনি আরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। উল্লেখ্য, বর্তমানে আমাদের গড় বয়স ৬৮ বছর। বিচারপতিদের অবসরের যাওয়ার বয়স ৬৭ ও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ করা হয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬১ বছর করার বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মামুনুর রশীদ
কাপাসিয়া, গাজীপুর।

No comments:

EID MUBARAK to everybody