বিসিএস পরীক্ষার্থীদের তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিন
এ বছর ৪৩০৬টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য গত ২৮ মার্চ ৩৩তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এবারই প্রথম অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদনপত্র নিয়েছে পিএসসি, যা অত্যন্ত সুন্দর, সাবলীল ও অল্প সময়ে আমরা সম্পন্ন করেছি। গত ৮ মার্চ আবেদনপত্র জমাদান শুরু হয় এবং ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।
আমার ব্যক্তিগত কোনো কম্পিউটার না থাকায় নিকটস্থ সাইবার ক্যাফেতে আরো হাজার হাজার পরীক্ষার্থীর মতো অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে যাই। সাইবার ক্যাফেগুলোতে পরীক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন, বিদ্যুৎ সমস্যা, আবেদনপত্রের একটি ধাপ সম্পন্ন করার পর বারবার এঙ্সে ডিনাইড হওয়া ইত্যাদি কারণে ১৮ মার্চ থেকে পর পর তিন দিন অফিস সময়ের পর দোকানে গিয়ে আমি আবেদন করতে পারিনি। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় শিক্ষক বাবা স্ট্রোক করলে একমাত্র সন্তান হিসেবে তাঁকে নিয়ে সরকারি হাসপাতালে চলে আসি। আমি আমার আবেদনপত্রটি পূরণের জন্য সব তথ্য ও টেলিটকের টাকাসহ সাইবার ক্যাফের কম্পিউটার অপারেটরকে দিয়ে আসি। ২৯ মার্চ বাড়ি ফিরে আবেদনপত্রের আবেদনকারীর কপি নিয়ে দেখতে পাই, সব তথ্য সঠিক থাকলেও আমার ক্যাডার পছন্দের বিষয়ে তিনি অন্য একটি ক্যাডার দিয়ে আবেদন করে দিয়েছেন। পিএসসির পক্ষ থেকে বলা হয়, একবার টাকা জমা দেওয়ার পর সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই এবং একজন প্রার্থী একাধিকবার আবেদন করতে পারবেন না। এ কারণে আমি মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত ও হতাশ হয়ে পড়ি। পিএসসি কার্যালয় বারবার যোগাযোগ করার পরও তারা সংশোধনের ব্যাপারে কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। এ বছর যে এক লাখ ৮৩ হাজার ৬২৭ জন আবেদনকারী সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণের কাজ সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের ভেতর এমন অনেক পরীক্ষার্থী আছেন, যাঁদের ক্যাডার পছন্দে ভুল, নামের বানানে ভুল, জন্মতারিখ লিখতে গিয়ে ভুল, এসএসসি ও এইচএসসি রোল নম্বরে ভুল করে ফেলেছেন। আমাদের সরবরাহ করা রোল নম্বরের অধীনে নির্দিষ্ট ফি কেটে নিয়ে ছবি এবং স্বাক্ষর অপরিবর্তিত রেখে ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য যদি একবার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় উপকার হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
বিসিএস পরীক্ষার্থী।
No comments:
Post a Comment