Monday, April 30, 2012

কৃষকদের দুর্দিন

কৃষকদের দুর্দিন
২০০৯ সালের কৃষিশুমারি অনুযায়ী দেশে কৃষক পরিবারের সংখ্যা এক কোটি ৮০ লাখ। এদের মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি। এই কৃষক পরিবারগুলোর সদস্য ছয় কোটির বেশি।
যে কৃষককুল দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির হাতিয়ার, তাঁদের জীবন আজ হতাশাগ্রস্ত। এর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের মূল্যের সামঞ্জস্য না থাকা। গত মৌসুমে ডিজেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ৪০ টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা। ইউরিয়া সারের দাম ছিল প্রতি কেজি ১২ টাকা, এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা। বিদ্যুতের দামও গত মৌসুমের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এসব কারণে এ মৌসুমে প্রতি কেজি বোরো ধানে ব্যয় বেড়েছে প্রায় দেড় টাকা করে। অন্যদিকে গত মৌসুমে ধানের দাম ছিল মণপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কিন্তু এখন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
প্রতিবছর সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ নিলেও পরিশেষে সেটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় না। তাই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশি দামে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনায় সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুকদেব বিশ্বাস
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

শরীরচর্চার পাঠ্যক্রম
শারীরিক শিক্ষাকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে শারীরিক শিক্ষার তত্ত্ব ও নীতি, শারীরিক শিক্ষার ইতিহাস, ক্রীড়াবিজ্ঞান, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান, খেলাধুলার আইনকানুন, স্বাস্থ্যবিদ্যা, প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয় স্বল্প আকারে হলেও তত্ত্বীয় অংশে অন্তর্ভুক্ত থাকে। ইনডোর ও আউটডোর খেলাগুলো এই শিক্ষার ব্যবহারিক অংশ। একটি জাতির তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা ও নেতৃত্ব বিকাশে খেলাধুলা তথা শারীরিক শিক্ষার বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
কিন্তু এই বিষয়টি এখনো উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অথচ স্নাতক-বিপিএড (ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন) যোগ্যতায় শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাঁকে কর্মহীন করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রসঙ্গত, কলেজ পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়ার বিষয় চালু করলে নতুন করে শিক্ষকের পদ সৃষ্টি ও পদায়ন করার প্রয়োজন হবে না। শরীরচর্চা শিক্ষকই এ বিষয়টি পড়াতে পারবেন। শুধু শিক্ষকের পদটি আপগ্রেড করে শারীরিক শিক্ষার প্রভাষক করতে হবে। শরীরচর্চা শিক্ষকের পদটিকে ঘিরে দীর্ঘদিন অসমতা ও অসামঞ্জস্য বিদ্যমান। সাচিবিক বিদ্যা ও কম্পিউটার শিক্ষার প্রভাষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোর্স সার্টিফিকেটের সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে মাস্টার্স থাকলে প্রভাষক হওয়া যায়। লাইব্রেরিয়ানদের সংশ্লিষ্ট বিষয় বা অন্য বিষয়ে মাস্টার্স থাকলে প্রভাষকের বেতন স্কেল পাওয়ার বিধান আছে। অথচ শরীরচর্চা শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট বা অন্য বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি থাকলেও প্রভাষকের মর্যাদা ও বেতন স্কেল পান না—স্কুলশিক্ষকের মর্যাদায় থাকেন।
উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষার পাঠ্যক্রম চালু ও যোগ্যতা অনুযায়ী শরীরচর্চা শিক্ষকদের প্রভাষকের মর্যাদা দেওয়ার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চঞ্চল কুমার কর্মকার
কুমারখালী কলেজ, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-27/news/253346

No comments:

EID MUBARAK to everybody