কৃষক ও ধানের দাম
হাওরপাড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র কৃষক। আমাদের নিজস্ব কৃষিজমি থাকার পরও বীজ কেনা, জমি চাষ, পানি সেচ, সার দেওয়া, ধানের চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা, ধান মাড়াই ও বাড়িতে আনা প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় কাজে এক কিয়ারে (৩০ শতাংশ) খরচ হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। যাঁদের নিজস্ব জমি নেই, তাঁরা প্রতি কিয়ার জমি কমবেশি তিন হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নেন। অর্থাৎ তাঁদের প্রতি কিয়ারে মোট খরচ হয় প্রায় নয় হাজার টাকার মতো। কৃষক ছয় মাস (অগ্রহায়ণ-বৈশাখ) ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করে। এই বছর প্রতি কিয়ার জমিতে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ মণ ধান হয়েছে। এই চিত্র পুরো হাওর এলাকার। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের প্রকৃত দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ ধানের বর্তমান দামে যাঁরা জমি ইজারা নিয়ে ধান চাষ করেছেন, তাঁরা পুরোপুরি লোকসানের সম্মুখীন। ধান বিক্রি করেই কৃষকদের পরিবার চালাতে হয়। এ সুযোগে ধানের আড়তদার, চালের ব্যবসায়ী, একশ্রেণীর মহাজন স্বল্পমূল্যে ধান ক্রয় করছেন। এতে কৃষকের পরিশ্রমের লাভের অংশ তাদের ঘরেই যাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষক যাতে তার ফসলের উপযুক্ত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দেওয়া সংশ্লিষ্ট সবার উচিত নয় কি?
সুমন চক্রবর্তী
শাবিপ্রবি, সিলেট।
টেক্সটাইল গবেষণা
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোশাকশিল্প। প্রতিবছর প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় এই খাত থেকে। মুক্ত অর্থনৈতিক বাণিজ্যের এই বিশ্বে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে টিকে থাকতে হলে এই খাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দেশে বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থাকলেও নেই কোনো টেক্সটাইল গবেষণা ইনস্টিটিউট। ফলে প্রতিবছর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই চলে যাচ্ছে দেশে কার্যরত বিদেশি গবেষকদের পেছনে। আজ যদি টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট থাকত, তাহলে যেমন অর্থনেতিক অপচয় রোধ হতো, তেমনি অসংখ্য মেধা কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা গড়ে তোলা সক্ষম হতো। উল্লেখ্য, দেশে একটি সরকারি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও সেখানে নেই গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। ফলে ক্রমবিকাশমান টেক্সটাইল-শিল্প বহির্বিশ্বে তীব্র প্রতিযোগিতার শিকার হচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তথা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য একটি স্বতন্ত্র টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অতীব প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আবেদন, দেশে একটি টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
মো. মশিউর রহমান
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-30/news/254066
হাওরপাড়ে চলছে ধান কাটার উৎসব। আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র কৃষক। আমাদের নিজস্ব কৃষিজমি থাকার পরও বীজ কেনা, জমি চাষ, পানি সেচ, সার দেওয়া, ধানের চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা, ধান মাড়াই ও বাড়িতে আনা প্রভৃতি অত্যাবশ্যকীয় কাজে এক কিয়ারে (৩০ শতাংশ) খরচ হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। যাঁদের নিজস্ব জমি নেই, তাঁরা প্রতি কিয়ার জমি কমবেশি তিন হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নেন। অর্থাৎ তাঁদের প্রতি কিয়ারে মোট খরচ হয় প্রায় নয় হাজার টাকার মতো। কৃষক ছয় মাস (অগ্রহায়ণ-বৈশাখ) ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করে। এই বছর প্রতি কিয়ার জমিতে সর্বোচ্চ ১৪-১৫ মণ ধান হয়েছে। এই চিত্র পুরো হাওর এলাকার। বর্তমানে প্রতি মণ ধানের প্রকৃত দাম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ ধানের বর্তমান দামে যাঁরা জমি ইজারা নিয়ে ধান চাষ করেছেন, তাঁরা পুরোপুরি লোকসানের সম্মুখীন। ধান বিক্রি করেই কৃষকদের পরিবার চালাতে হয়। এ সুযোগে ধানের আড়তদার, চালের ব্যবসায়ী, একশ্রেণীর মহাজন স্বল্পমূল্যে ধান ক্রয় করছেন। এতে কৃষকের পরিশ্রমের লাভের অংশ তাদের ঘরেই যাচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষক যাতে তার ফসলের উপযুক্ত মূল্য পায়, সেদিকে নজর দেওয়া সংশ্লিষ্ট সবার উচিত নয় কি?
সুমন চক্রবর্তী
শাবিপ্রবি, সিলেট।
টেক্সটাইল গবেষণা
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোশাকশিল্প। প্রতিবছর প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় এই খাত থেকে। মুক্ত অর্থনৈতিক বাণিজ্যের এই বিশ্বে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে টিকে থাকতে হলে এই খাতের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দেশে বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থাকলেও নেই কোনো টেক্সটাইল গবেষণা ইনস্টিটিউট। ফলে প্রতিবছর অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই চলে যাচ্ছে দেশে কার্যরত বিদেশি গবেষকদের পেছনে। আজ যদি টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট থাকত, তাহলে যেমন অর্থনেতিক অপচয় রোধ হতো, তেমনি অসংখ্য মেধা কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা গড়ে তোলা সক্ষম হতো। উল্লেখ্য, দেশে একটি সরকারি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও সেখানে নেই গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। ফলে ক্রমবিকাশমান টেক্সটাইল-শিল্প বহির্বিশ্বে তীব্র প্রতিযোগিতার শিকার হচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তথা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য একটি স্বতন্ত্র টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অতীব প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আবেদন, দেশে একটি টেক্সটাইল রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
মো. মশিউর রহমান
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-30/news/254066
No comments:
Post a Comment