নরসুন্দা কি অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবে
কিশোরগঞ্জ এক সমৃদ্ধ জনপদের নাম। আর এ সমৃদ্ধির পেছনে রয়েছে জেলার কৃতী ও
স্বনামধন্য ব্যক্তিদের পদচারণ, ঐতিহাসিক স্থাপনা, হাওর-বাঁওড় আর নদ-নদীর
সংমিশ্রণে প্রাকৃতিক লীলাময় সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ। আজ সেই সুন্দর পরিবেশও
যেন কিছু আত্মকেন্দ্রিক সুবিধাভোগী অবৈধ প্রভাবশালীদের কারণে বিপন্ন হতে
চলেছে। একসময় শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা নরসুন্দা নদীর ঢেউ এই
অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অংশ ছিল। কত মানুষ নরসুন্দার বুকে নৌকা
চালিয়ে সুখের সংসার চালাত। নৌকাবাইচ আর মাঝিমাল্লার মন মাতানো উদাসী গান
সব সময় মাতিয়ে রেখেছে নদীকূলের মানুষকে। আজ সবই যেন স্মৃতি। আর এখন
নরসুন্দার বুকজুড়ে শোভা পাচ্ছে বড় বড় আগাছা, ময়লার স্তূপ, আর অবৈধ
দখলদারদের তৈরি বড় বড় নান্দনিক অট্টালিকা। নরসুন্দার নীরব ক্রন্দন যেন আর
কেউ শুনতে পায় না। দিন দিন প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের অর্থের উত্তাপে
নরসুন্দার বুকের জল শুকিয়ে সেখানে ভরাট করা হচ্ছে মাটি। আর অবস্থাদৃষ্টে
মনে হয়, নরসুন্দার এই ক্রন্দন যেন শুধু নরসুন্দারই। বর্তমানে শহরের অনেক
জায়গায় নরসুন্দা তার স্মৃতিচিহ্নটুকুও ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি নরসুন্দাকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে দখলদারদের অবৈধ দখলের উৎসব বন্ধ করে তার অতীত স্মৃতিটুকু ফিরিয়ে আনতে পারে না?
প্রশাসনও অবৈধ দখলদারদের অর্থ আর প্রভাবের কাছে দাসত্ব মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ, যারা এ শহরের নির্মল পরিবেশে একটু কোলাহলমুক্ত বিনোদন প্রত্যাশী, যারা এখনো নরসুন্দার বুকে নিজের শরীরটাকে ভিজিয়ে একটু শীতল হতে চাই, তাদের এ প্রত্যাশা কে পূরণ করবে?
সুমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কিশোরগঞ্জ।
স্থানীয় প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ কি নরসুন্দাকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে দখলদারদের অবৈধ দখলের উৎসব বন্ধ করে তার অতীত স্মৃতিটুকু ফিরিয়ে আনতে পারে না?
প্রশাসনও অবৈধ দখলদারদের অর্থ আর প্রভাবের কাছে দাসত্ব মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমরা যারা সাধারণ মানুষ, যারা এ শহরের নির্মল পরিবেশে একটু কোলাহলমুক্ত বিনোদন প্রত্যাশী, যারা এখনো নরসুন্দার বুকে নিজের শরীরটাকে ভিজিয়ে একটু শীতল হতে চাই, তাদের এ প্রত্যাশা কে পূরণ করবে?
সুমিত বণিক
উন্নয়নকর্মী, কিশোরগঞ্জ।
No comments:
Post a Comment