ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করুন
ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে স্থানীয় সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসন ও প্রাচীন
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। এ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি থেকে গ্রামীণ
জনসাধারণ সরাসরি সেবা পেয়ে থাকে। ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কাজ- রিপোর্ট
রিটার্ন থেকে শুরু করে অন্যান্য সব কাজই পরিষদের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা
প্রশাসক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের নূ্যনতম দ্বিতীয়
শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রিধারী ইউপি সচিবদের করতে হয়। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার
(ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ধারা-৪৬(১) মোতাবেক পরিষদের সব আয় ও ব্যয় ইউপি
চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালনা ও ধারা-৫৪(৪) মোতাবেক পরিষদের
তহবিল চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে।
ইউপি সচিবরা টিআর, কাবিখা, ভিজিডি, ভিজিএফসহ প্রায় সব কমিটিতে সদস্যসচিব
হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ ছাড়া ইউনিয়ন উন্নয়ন সমন্বয় সভার
সদস্যসচিব হিসেবেও সচিবরা দায়িত্ব পালন করেন। এখানে উল্লেখ্য, ইউনিয়ন
উন্নয়ন সমন্বয় সভায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, সহকারী শিক্ষা অফিসার, উপসহকারী
কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ সহকারীসহ
(কৃত্রিম প্রজনন) সরকারের প্রায় সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সদস্য
হিসেবে থাকেন। একমাত্র সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়া সবার নিয়োগের শিক্ষাগত
যোগ্যতা ইউপি সচিবের নিচে হলেও সবাই দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে
উন্নীত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই ইউপি সচিব পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে
উন্নীত করে ইউপি সচিবদের পরিষদের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্প তদারক করার ক্ষমতা
এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করলে পরিষদের সব কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা
নিশ্চিতসহ সরকারি অনেক অর্থের অপচয় রোধ সম্ভব।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের স্থানীয় সরকারের এই স্তরকে পঞ্চায়েত বলা হয়, সেখানে সচিব একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের তদারক করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ইউপি সচিবরা গ্রাম পুলিশদের অফিসিয়াল কোনো কাজ করার কোনো আদেশ করতে পারেন না, যা সত্যই দুঃখজনক। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এ সাতটি মন্ত্রণালয়ের মাঠপর্যায়ের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে। আশা করি সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে দ্রুত মাঠপর্যায়ের এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করবেন। ইউপি সচিবদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীতকরণ ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ কে এম হাসান নুর জামান
ইউপি সচিব
৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ
দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের স্থানীয় সরকারের এই স্তরকে পঞ্চায়েত বলা হয়, সেখানে সচিব একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষি, মৎস্য, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মচারীদের তদারক করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ইউপি সচিবরা গ্রাম পুলিশদের অফিসিয়াল কোনো কাজ করার কোনো আদেশ করতে পারেন না, যা সত্যই দুঃখজনক। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এ সাতটি মন্ত্রণালয়ের মাঠপর্যায়ের নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে। আশা করি সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে দ্রুত মাঠপর্যায়ের এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করবেন। ইউপি সচিবদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীতকরণ ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ কে এম হাসান নুর জামান
ইউপি সচিব
৩ নম্বর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ
দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।
No comments:
Post a Comment