Monday, May 14, 2012

সড়কে মৃত্যুর মিছিল



  • ধানমন্ডিতে সাংবাদিক বিভাষ সাহা নিহত হওয়ার পর পুলিশ বিক্ষুব্ধ লোকজনকে লাঠিপেটা করে ধানমন্ডিতে সাংবাদিক বিভাষ সাহা নিহত হওয়ার পর পুলিশ বিক্ষুব্ধ লোকজনকে লাঠিপেটা করে
    ছবি: প্রথম আলো
  • সিলেটের বালাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গতকাল ভোরে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যাও সিলেটের বালাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গতকাল ভোরে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি
    ছবি: প্রথম আলো
ভোরে সিলেটের বালাগঞ্জে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদসহ আটজনের মৃত্যু। এর আগে গাইবান্ধায় ট্রাকচাপায় পাঁচজন মারা গেছেন। দুপুরে ঢাকায় বাসচাপায় প্রাণ হারান বরিশালের এক আলোকচিত্র সাংবাদিক। পাঁচ ঘণ্টা পর আবারও বাসচাপা ঢাকায়। এবার প্রাণ হারালেন একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনটা শুরু হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণহানি দিয়ে। দিন শেষে মৃত্যুর হিসাবটা হলো ১৫। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন হারিয়ে যায় বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো। ঘটনার পর শোক প্রকাশ করে দায়িত্ব শেষ করেন রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রীরা। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কিংবা দায়ী গাড়িচালকের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
গতকাল দুপুরে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বরিশালের মতবাদ পত্রিকার আলোকচিত্রী শহীদুজ্জামান। বিকেলে মারা যান ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট-এর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বিভাস চন্দ্র সাহা (৪৭)।
ঘটনাস্থল ধানমন্ডি: সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। রাস্তায় তখন পড়ে রয়েছে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া হেলমেটের ভাঙা প্লাস্টিক আর কালচে রক্ত। কিছুক্ষণ আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা বিভাসের দেহটা। মোটরসাইকেলে ধানমন্ডির বেল টাওয়ারের অফিসে যাচ্ছিলেন বিভাস। পেছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে চাপা দিয়ে চলে যান ঘাতক বাসচালক। মোহাম্মদপুর-নারায়ণগঞ্জ পথে চলাচলকারী মৈত্রী পরিবহনের বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। পুলিশ সজল (২৮) নামের চালকের সহকারীকে আটক করেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এ কে এম শাহেনুর বলেন, বিভাসের পেছনে তিনিও মোটরসাইকেলে ছিলেন। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পার হয়ে বাঁয়ে মোড় নিয়ে বিভাসের পেছন পেছন যাচ্ছিলেন। পপুলার হাসপাতালের সামনে মৈত্রী পরিবহনের বাসটি ডান দিক দিয়ে তাঁদের অতিক্রম (ওভারটেক) করে। কয়েক গজ যেতে না-যেতেই ঠিক স্টার কাবাবের সামনে বাসটি হঠাৎ বাঁয়ে চাপিয়ে বিভাসের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। জোর ধাক্কায় ‘বাবা রে’ চিৎকার করে ডান পাশে পড়ে যান বিভাস। মোটরসাইকেলটি দূরে ছিটকে পড়ে, তাঁর মাথাটি পড়ে পেছনের চাকার তলে। আশপাশের লোকজনও সবাই বাসচালককে থামার জন্য চিৎকার করে ওঠেন; কিন্তু চালক চাপা দিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘মোটরসাইকেলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার পর চালক বাসটি না থামিয়ে আরও জোরে টানা শুরু করেন। মোটরসাইকেলে থাকা লোকটা পড়ে যাওয়ার সময়ই একটা চিৎকার করলেন। এরপর শুধু ঠাস করে একটা শব্দ শোনা গেল। আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি, নিথর দেহ, রক্ত গড়াচ্ছে।’
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন বাসটি ভাঙচুর করেন এবং রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করলে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে। এ সময় পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। ধানমন্ডি থানার একজন কর্মকর্তা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে গালি দিয়ে চিৎকার করে বলছিলেন, ‘ডাইবাররে তো ধরতে পারলা না। এখন প্রতিবাদ করস হারামজাদা...। এইহানে আইলেই গুলি কইরা দিমু।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোক্তারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় সাংবাদিকেরা এসে তাঁকে ছাড়িয়ে নেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের বাগিবতণ্ডা হয়। স্থানীয় লোকজন বিভাসের দেহটি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এরপর তাঁর দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্বজন ও সহকর্মীরা ভিড় করেন হাসপাতালের মর্গে। কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ বা ফেটে পড়েন ক্ষোভে।
স্বজনেরা জানান, বিভাসের সন্তান নেই; স্ত্রী তপতী রানী সাহা গুরুতর অসুস্থ। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির কথা। বিভাস ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে তিনি ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। মাঝে কিছুদিন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ কাজ করেন। আবার ফিরে যান ইনডিপেন্ডেন্টে। বিভাসের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে, বাবার নাম ইন্দ্রভূষণ সাহা। ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুর (শান্তিবাগ) এলাকায় তাঁর বাসা।
আলোকচিত্র সাংবাদিক শহীদুজ্জামান (৩৮) প্রকাশিতব্য দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায় যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন। গতকাল দুপুরে পত্রিকাটির কার্যালয় থেকে ফেরার সময় রাজধানীর শেরাটন মোড়ে বাসচাপায় প্রাণ হারান তিনি। শহীদুজ্জামান বরিশালের মতবাদ নামের একটি দৈনিকে কাজ করতেন।
শহীদুজ্জামানের সঙ্গে রিকশায় ছিলেন তাঁর বন্ধু ঢাকার একটি দৈনিকের সহসম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহে শহীদুজ্জামান মানবকণ্ঠ পত্রিকায় চাকরির জন্য আবেদন জমা দিয়েছিলেন। গতকাল গুলশান ১ নম্বরে পত্রিকার কার্যালয়ে চাকরির খোঁজ নিয়ে তাঁরা রিকশায় শাহবাগে ফিরছিলেন। বেলা একটার দিকে ইউনাইটেড পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। শহীদুজ্জামান রাস্তার ওপর এবং তিনি ফুটপাতের পাশে ছিটকে পড়েন। চালক বাসটি না থামিয়ে শহীদুজ্জামানের ওপর দিয়ে চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে শহীদুজ্জামানের মাথা চূর্ণ হয়ে যায়। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। যাত্রীরা বাসটি থামিয়ে চালক নাইম হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শহীদুজ্জামানের মামাশ্বশুর মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘শহীদুজ্জামান ৮ মে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসে। চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রী রুমা আক্তারও এসেছে। ওরা জিগাতলায় আমার বাসায় ওঠে।’ তাঁর একমাত্র সন্তানের নাম তাসিন (১০)।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, চালক নাইমসহ বাসটি (ঢাকা মেট্রো জ ১১-১২৮৩) আটক করা হয়েছে। শহীদুজ্জামানের মামাশ্বশুর মাসুদ পারভেজ রমনা থানায় মামলা করেছেন। বাসটি মিরপুর থেকে সদরঘাট যাচ্ছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় শহীদুজ্জামানের লাশ স্বজনেরা বরিশালে নিয়ে গেছেন। তিনি বরিশাল শহরের কালীবাড়ি রোডের বাসিন্দা। তাঁর বাবা বদিউজ্জামান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।
এর আগে ৮ জানুয়ারি কাকরাইলে বাসের চাপায় প্রাণ হারান মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক দীনেশ দাস (৪৪)। তারও আগে গত ২৮ ডিসেম্বর বাসের চাকায় ডান পা হারান সাংবাদিক নিখিল ভদ্র।
সিলেটে প্রাণ হারালেন আ.লীগের নেতা: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় গতকাল ভোরে ট্রাকের সঙ্গে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ভলবো বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন শামীম (৬২), ঢাকার ব্যবসায়ী, চিকিৎসকসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী ও তাঁদের মেয়েসহ ২৭ জন। ইফতেখার স্ত্রী নাজনীন হোসেন (৪৫) ও মেয়ে শেহরীন হোসেনকে (১৮) নিয়ে সিলেটে ফিরছিলেন।
ইফতেখার সিলেট অঞ্চলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে ছুটে গেছেন অর্থমন্ত্রী, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এ সময় বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম।’
গাইবান্ধা: অভিমান করে গত বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে কীটনাশক পান করেন সদর উপজেলার খামার পীরগাছা গ্রামের গৃহবধূ নমিতা রানী। স্ত্রীকে বাঁচাতে রিকশা-ভ্যানে করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন শ্যামল। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই চন্দন ও খালা কাঞ্চনবালা। গ্রামের রাস্তা পেরিয়ে ভ্যানটি গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে ওঠে। ভোর চারটার দিকে জেলা শহরের পুলিশ সুপার কার্যালয়সংলগ্ন ৭ নম্বর খাদ্যগুদামের সামনে পৌঁছামাত্র একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শ্যামল, নমিতা, চন্দন ও কাঞ্চনবালার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান ভ্যানচালক আশরাফ।


পাঠকের মন্তব্য

Akram zaman from Sweden
Akram zaman from Sweden
২০১২.০৫.১২ ০২:৩৭
এটাই সরকারের আসল চেহারা, আপন জনের মৃতের পর শোক প্রকাশে রাসথায় নামা কি অপরাধ ? এ সরকার আজ দেশের মানুষকে কি পেয়েছে ? সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে মানুষের স্বাবিক মৃত নিশ্চয়তা দেওয়া , সড়ক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন করা , বিকল অকেজো যান-বহন লাইসেনস বাতিল করা। ট্রাফিক নিয়ম ও আইন জেয়ারদার করা ।

M. H Akash
M. H Akash
২০১২.০৫.১২ ০২:৩৯
সড়ক দুংঘটনায় প্রতিদিন ১৫-২০ জন প্রান হারাচ্ছে..। সরকার এই নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথ্যা নাই.।আমরা শুধু প্রত্রিকায় দেখেই যাবো... এটাই আমাদের ভাগ্য.....................।

Abdullah Al-Mamun. রংপুর ।
Abdullah Al-Mamun. রংপুর ।
২০১২.০৫.১২ ০২:৫১
প্রতিটি মৃত্যু মর্মান্তিক । যখন এর হার বেড়ে যায় আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, আমরা হই শঙ্কিত আর রাস্তা চলতে জীবনকে বাজিতে রাখি ।

Shamiul
Shamiul
২০১২.০৫.১২ ০৫:০০
Is there any government in Bangladesh?? If, what's their duty?? Are they blind ?? Useless !!

shofiqur rahman
shofiqur rahman
২০১২.০৫.১২ ০৫:১৬
প্রতি দিন সড়ক দূঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছেন । যখন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এই ধরনের কেহ দুঘটনায় পড়ে মারা গেলে হইচই পড়ে যায় পত্রিকায় প্রথম পাতায় নিউজ বিরাট সম্পাদকীয় লিখা হয় । অতচ বিষয়টা সমাধান কিভাবে করা দরকার মনেহয় কেউ জানেন না । না সরকার না বুদ্বিজীবি গণ । অতচ আমরা সবাই একটু দায়িত্বশীল হয়ে এগিয়ে আসলে সড়ক দঘটনা ৯০ভাগ কমানো সম্ভব । আমাদের ড্রাইভাররা গাড়ি চালাতে জানেন কিন্তু গাড়ী চালাতে যে আরও নিয়মনীতি মেনে চলতে হয় তা তারা জানেন না এবং কেউ শেখানোর জন্য আগাইয়া আসেন না । সরকার যদি বয়স্ক শিক্ষাকেন্র চালু করে রাত্রে ৭- ৯টা পযন্ত প্রতি জেলা উপজেলায় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্রদেরকে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদিয়ে ড্রাইভারদের সপ্তাহে ২দিন শিক্ষার আওতায় নিয়ে এসে নিয়মনীতিগূলা লেখাপড়ার মাধ্যমে শেখানো যায় । মধ্য মধ্য পুলিশ অফিসাররা ক্লাসে এসে ড্রাইভারদেরকে আইনের দিকগূলো সম্বন্দে সচেতন করেন তাহলে আমি বিশ্বাসকরি ৯০ ভাগ দূঘটনা কমে আসবে । ছাত্ররা ছাড়া অন্যন্য শিক্ষিতরা ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে সপ্তাহে একদিন ২ঘন্টা সময় দিতে পারেন । আসুন আমরা সবাই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আমাদের ড্রাইভারদেরকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে এসে আমাদের ভাইবোন পিতামাতা বন্ধুবান্ধবদের দূঘটনার হাত থেকে রক্ষা করি সংগে সংগে নিজেও বাছি। সপ্তাহে কত ঘন্টা আমরা বাজে আড্ডায় নষ্ট করি ।

rubel raj
rubel raj
২০১২.০৫.১২ ০৫:৩৬
২০১২ তে এসেও আমরা এই লাশের মিছিল থেকে বের হতে পারছি না , কেন ?দোষ কেবল পরিবারের কর্তার আমাদেরও নেই কি ? আসুন সেই দোসটা বের করে দিয়ে সরকারকে বাধ্য করি কিছু একটা করতে ।

Riaj Raju
Riaj Raju
২০১২.০৫.১২ ০৫:৪৮
এই দেশে জন্ম নেয়াটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অপরাদ...।।

২০১২.০৫.১২ ০৬:৪৫
একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী যখন আনাড়ী চালকদের পক্ষে জোরালো সাফাই গেয়ে বেড়ান তখন তো এরকম মিছিল বাড়তেই থাকবে , কি বলেন ?

Kulsum Al-Nazrul
Kulsum Al-Nazrul
২০১২.০৫.১২ ০৮:০০
সড়কে মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বাড়ছে । রোধ করতে না পারলে অনেক সম্ভাবনাময় জীবনকে এভাবে অকালে হারাতে হবে ।

taj u ahmed
taj u ahmed
২০১২.০৫.১২ ০৯:০০
just stop it.

abdulla al masud
abdulla al masud
২০১২.০৫.১২ ০৯:২১
এই সব অদক্ষ অথর্ব ড্রাইভারদের অবশ্যই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হতে হবে !! ড্রাইভারদের এই হিংস্রতাকে আর প্রশ্রয় দেয়ার কোন যুক্তি থাকতে পারে না ।

Md.Humayun Kabir
Md.Humayun Kabir
২০১২.০৫.১২ ০৯:৪০
it seems that the authority;is inactive .Then,who wil save us?

abdulla al masud
abdulla al masud
২০১২.০৫.১২ ০৯:৫০
ধানমন্ডি থানার একজন কর্মকর্তা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে উচ্চ স্বরে গালি দিয়ে বলছিলেন - ‘ডাইবাররে তো ধরতে পারলা না, এখন প্রতিবাদ করস হারামজাদা... এইহানে আইলেই গুলি কইরা দিমু’,
পাবলিক ধরলে সরকার আপনাদের বেতন দিয়ে পুষছেন কি ঘোড়ার ঘাস কাটার জন্য !!!!

Mostafizur
Mostafizur
২০১২.০৫.১২ ১০:১৬
বাস মারে, আবার পুলিশও মারে !!!! কি অবস্থা ?????

Saleh Ahmed
Saleh Ahmed
২০১২.০৫.১২ ১২:০৯
সডকের বেহাল দশা, চালকদের উপয়ুক্ত শিখন, য়েখানে সেখানে পারকিং এ সামান্য কাজগগুলি কোন সরকারই তেমন করে নজরে নে্য় না । সরকার এবং বিরোধিদল ৪২ বছর ধরে নিরলজ্জ ভাবে শুধুই খমতার জন্য কামডা কামডি করে চলেচে

Tanvir Islam
Tanvir Islam
২০১২.০৫.১২ ১২:২৭
"আল্লাহর মাল আল্লাহ নিতাছে"
সরকার বসে বসে বাদাম চিবাইতাস,
আর আমরা হালাল হইতাসি,
এর থেকে সৌভাগ্যবান বাঙালি আর কে হতে পারে...

jakir hussain
jakir hussain
২০১২.০৫.১২ ১৪:৪৯
কেবল সড়কে নয়, পুরো দেশ জুড়ে যেনো চলছে মৃত্যুর মিছিল !

২০১২.০৫.১২ ১৪:৫৫
রাস্তায় লাশ, নদিতে লাশ, বেড রুমে লাশ, বাইরে লাশ, খালে লাশ, বিল জলাসয়ে লাশ, সেফটি ট্যাংকে লাশ , সীমান্তে লাশ ! লাশ আর লাশ !

Sumon Kumar nath
Sumon Kumar nath
২০১২.০৫.১২ ১৫:৫৭
আজব দেশ .....বিচিতর আমরা .........,মরন কত সহজ ,আর শসতা !!!

Golam Masud
Golam Masud
২০১২.০৫.১২ ১৬:৩৫
আমি বাস ড্রাইভারদের পক্ষে বলছি না । কিন্তু, মটরবাইক চালকগন যেভাবে ride করেন তাও আইন সিদ্ধ নয় । ফুটপাতের উপর দিয়ে, দোকানগুলো ঘেষে যেভাবে চালায়; তা তাদের জন্য যেমন অন্যদের জন্যও তেমনই বিপদ্জনক বটে !

Jhuman Modak
Jhuman Modak
২০১২.০৫.১২ ১৭:২০
আমাদের ড্রাইভাররা গাড়ি চালাতে জানেন কিন্তু গাড়ী চালাতে যে আরও নিয়মনীতি মেনে চলতে হয় তা তারা জানেন না এবং কেউ শেখানোর জন্য আগাইয়া আসেন না ।

Shakhawat Hossain
Shakhawat Hossain
২০১২.০৫.১২ ১৭:২৬
দেশের মানুষ এত বেশি হয়ে গেছে, কিছুতেই কমানো যাচছেনা। তাই এই সরকার জনসংখা নিয়ন্তরনের এই ডিজিটাল উদ্যোগ নিয়েছে। ভিসন ২০২১ সফল করতে হবেনা ?

Adul Fazal
Adul Fazal
২০১২.০৫.১২ ১৭:৪৪
আর কত লাস চায়ে বাংলাদেশ সরক ও নদি পথ মালিক সমিতি ..। ?..।

২০১২.০৫.১২ ২০:১৯
১ জন মানুসের জিবনের দাম কি tk১০০০০?driver গুলো কে ফাসি দিলে তারা দেখে দেখে গারি চালাবে।

khaled sumon
khaled sumon
২০১২.০৫.১২ ২১:২১
প্রতিটি মৃত্যু মর্মান্তিক ।

Dr. Sazzad bollam
Dr. Sazzad bollam
২০১২.০৫.১২ ২২:০৫
এ সড়ক দূর্ঘটনার ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ চলবে......................

Dr. Sazzad bollam
Dr. Sazzad bollam
২০১২.০৫.১২ ২২:১৪
ইচ্ছেকৃত কোন ড্রাইভার দূর্ঘটনা ঘটায় না এটা যেমন সত্য আবার অনেক ড্রাইভারের অবহেলার কারণে বা নেশা করে গাড়ি চালানোর কারণে মারাত্তক দূর্ঘটনা ঘটে যায়,অবহেলার কারণে বা নেশা করে গাড়ি চালানোর কারণে দূর্ঘটনা ঘটালে সে চালকের সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবী করছি।

No comments:

EID MUBARAK to everybody