Tuesday, May 1, 2012

মে দিবসের আহ্বান, প্রতিবন্ধী কোটা, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি, সরকারি ব্যাংক

মে দিবসের আহ্বান
মে দিবস কী—এ বিষয়ে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করলে অনেকেই এ নিয়ে কিছু বলেন না। কারণ, তাঁদের কাছে সবই সমান। তাঁরা বলেন, ‘এ দিবসে কি আমাদের কোনো লাভ আছে, না আমাদের নিয়ে কারও ভাবার সময় আছে।’ শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তাঁর পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ধর্মে উল্লেখ থাকলেও তাঁরা কি তা পান? দেশের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয় মাসের ১০ বা ১১ তারিখে। কিন্তু তাঁদের বাড়িভাড়া মাসের ১ তারিখেই দিতে হয়। এ ছাড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খাদ্য ইত্যাদি ব্যাপার তো আছেই। এসব প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে অনেক শ্রমিক অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন, যা থেকে উত্তরণ পাওয়া খুবই কঠিন। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের মতে, তঁদের বেতন-ভাতা যদি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়, তাহলে এ সমস্যা থেকে অনেকটা উত্তরণ সম্ভব। তাই আজকের এই দিনে শুধু আলোচনা নয়, সরকার ও সব পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতি অনুরোধ, তাঁরা যেন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভতা প্রদান করেন।
ফারজানা আক্তার
সরকারি তিতুমীর কলেজ।

প্রতিবন্ধী কোটা
আমার মতো অনেক প্রতিবন্ধী আছে, তারা যেকোনো চাকরিতে আবেদন করতে পারে না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশার বাণী শুনিয়েছেন, এখন থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১% কোটা সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্প্রতি বিসিএসসহ পিএসসির অন্যান্য চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি কোটার কথা উল্লেখ থাকলেও ফরমে প্রতিবন্ধী কোটা সম্বন্ধে কোনো কথা উল্লেখ ছিল না। এতে আমার প্রতিবন্ধী সনদ থাকা সত্ত্বেও কাগজপত্রের সঙ্গে জমা দিতে পারেনি। তাহলে আমাকে কীভাবে প্রতিবন্ধী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে; বরং আমাকে সাধারণ প্রার্থীদের তালিকায় রাখা হলো। এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবন্ধী কোটার কথা উল্লেখ না থাকায় সনদটি জমা দিতে পারেনি, যেখানে সরকার বলার পরও তা কার্যকর হলো না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সরকারি চাকরিতে ১% কোটা সংরক্ষণ রাখার কথা বলার পরও তা কর্তৃপক্ষ পালন করছে না। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর নির্ধারণ করা হোক।
অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, তিনি যেন দ্রুত সরকারি চাকরিতে ১% কোটা রাখার বিধান বাস্তবায়ন করে প্রতিবন্ধীদের মেধাকে আরও গতিশীল করেন। ফলে দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধীরাও যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে।
সাইম, ময়মনসিংহ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি
সিলেকশন গ্রেড যেকোনো সরকারি কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত আবশ্যকীয় এবং এটি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে অবশ্য প্রাপ্য। আমরা ৮৫১ জন চিকিৎসক, অর্থাৎ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা, নভেম্বর ২০১০-এ সিলেকশন গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছিলাম। ওই সময়ে তা মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিলাম। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নথিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
কিন্তু এক বছর ধরে ৮৫১ জন চিকিৎসা কর্মকর্তার এ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। লাল ফিতার এ অনাকাঙ্ক্ষিত বাঁধনের ফলে আমরা জুনিয়র স্কেলে বেতন পাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে সিনিয়র স্কেলে আবেদন করার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। অন্যান্য ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের এ ধরনের ন্যায্য সিলেকশন গ্রেডের ফাইল এক থেকে দেড় মাসের বেশি আটকে থাকে না।
মস্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবরে আবেদন, আমাদের সিলেকশন গ্রেডের ফাইলটির দ্রুত নিষ্পত্তি করুন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান
নর্থ সার্কুলার রোড ঢাকা।

সরকারি ব্যাংক
বাংলাদেশে একসময় হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংক থাকলেও বর্তমানে অসংখ্য ব্যাংকের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক লেনদেনের ধরন ও পরিমাণ বহু গুণ বেড়েছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বেসরকারি ব্যাংকের সৃষ্টি হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় গ্রাহকেরা এসব ব্যাংকে সরকারি ব্যাংকের চেয়েও উন্নত সেবা পেয়ে থাকেন।
অন্যদিকে, সরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে আমরা শুধুই হতাশার চিত্র দেখতে পাই। সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজেকর্মে অবহেলা, গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার প্রভৃতি যেন নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
সরকারি ব্যাংকের অনিয়ম শুধু আইন করে বন্ধ করা যাবে না। এ জন্য চাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ ও মানসিকতার পরিবর্তন।
উজ্জ্বল দাস পোদ্দার
ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা।

No comments:

EID MUBARAK to everybody