আমার পরিবার আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি আমার সন্তানকে বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ভর্তি হওয়ার পর থেকে আবার আশায় আছি, কখন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরিয়ে আসবে। অন্যদিকে আতঙ্কেও আছি দেশের কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো দুর্যোগ না এখানেও তৈরি হয়! যদিও বুয়েটে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক কামড়াকামড়ি নেই। কিন্তু সেই রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা বুয়েটেও দেখা গেল শিক্ষকদের মধ্যে। দুই দল শিক্ষক সেখানে আধিপত্য বিস্তারের জন্য কি না জানি না, মুখোমুখি অবস্থানে এখন। সেখানে ভিসির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের একটি অংশ আন্দোলন করছে। তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে বুয়েটে ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকামী শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক সে বিবেচনায় যেতে চাই না, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না করে কি মাননীয় শিক্ষকরা তাঁদের দাবি আদায়ের পথে যেতে পারেন না? বুয়েটের শিক্ষকরা জাতির অতি সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁদের কাছে আমাদের সন্তানদের পাঠাতে পেরে আমরা গর্ব বোধ করি। সেই শিক্ষকরা কি আমাদের সেই গর্বের কারণকে নষ্ট করে দেবেন? আমার প্রস্তাব হচ্ছে, আপনারা ক্লাস চালু রেখে প্রতিবাদ চালিয়ে যান। মানববন্ধন থেকে শুরু করে ভিসি অফিসের সামনে অবস্থান করার মতো কর্মসূচি পালন করতে পারেন। আপনারা সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। ইচ্ছা করলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। রাষ্ট্রপতির কাছেও যেতে পারেন। দয়া করে ধর্মঘটের পথ পরিহার করে বুয়েট খুলে দিন। আপনাদেরই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পথ উন্মুক্ত করে দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক
ঢাকা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক
ঢাকা
No comments:
Post a Comment