Wednesday, February 21, 2018

ভাষার দেশে মাতৃভাষা হারায়


ভাষার দেশে মাতৃভাষা হারায়

লেখাপড়া না জানায় মা-বাবার পক্ষেও সম্ভব হয় না সুখদেবকে সাহায্য করা। ফলে এক অজানা আতঙ্ক ক্রমেই তার শিশুমনে বাসা বাঁধে। দিনে দিনে স্কুলে যাওয়া তার কাছে রীতিমতো ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ফলে প্রথম পরীক্ষাতেই ফেল করে সে। বিদ্যালয়ের দুর্বল ছাত্রের তালিকায় নাম উঠে সুখদেবের। কেউ জানতেও পারে না এই পিছিয়ে পড়ার কারণটি। এভাবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুখদেব হারিয়ে ফেলে স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ। পড়াশোনায় ইতি টেনে বাবার হাত ধরেই সে ছোটে কাজের সন্ধানে।
ওপরের ঘটনাটি এ দেশে আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষালাভের একটি চিত্র মাত্র। একই দেশে বাঙালি শিশুরা যখন পড়াশোনা করছে তার চিরচেনা মায়ের ভাষায়, তখন আদিবাসী শিশুদের মনে আগ্রাসী হিসেবে চেপে বসেছে বাংলা ভাষাটি। ফলে শিশু বয়স থেকেই একরকম বৈষম্যের মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছে আদিবাসী শিশুরা। more>>




একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য

পূর্ববাংলায় যে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৮ সালে, তার মাধ্যমে এই জাতির সংকল্পই প্রতিফলিত হয়। একুশে ফেব্রæয়ারি এরই চ‚ড়ান্ত রূপ। একুশে ফেব্রæয়ারির জন্ম একদিনে হয়নি, হয়নি এক যুগেও। এছাড়া একুশে ফেব্রæয়ারি শুধু ভাষা সংরক্ষণের আন্দোলন ছিল না। ভাষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জীবনবোধ, সাহিত্য-সংস্কৃতি স্বাতন্ত্র্য, জাতির আধ্মাতিক সত্তা সংরক্ষণের সংগ্রামের মূর্ত রূপ ছিল একুশে ফেব্রুয়ারিmore>>     e-paper link>>

ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের ভ‚মিকা

বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার ইতিহাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। হাজার বছর ধরে পূর্বসূরিদের বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা, সাধনা ও দুস্তর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলা ভাষাকে বায়ান্নর দোরগোড়ায় আসতে হয়েছিল। এই ধারাবাহিকতার ইতিহাস এই ছোট্ট নিবন্ধে বলা সম্ভব নয়। ১৯৪৭ সাল থেকে অর্থাৎ পাকিস্তান সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে ভাষার পথ যাত্রা দিয়ে শুরু করছি আমার কথামালা। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই পহেলা সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে ১৯ নম্বর আজিমপুর আবাসিক বাসাবাড়িতে তমদ্দুন মজলিস নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠিত হয়। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতির তাহজিব, তমদ্দুন, কৃষ্টিকে সমুন্নত রেখে জাতীয় সত্তার উন্মোচনে নতুন নতুন দ্বার উদঘাটন করা। more>>     e-paper link>>

 ভাষা আন্দোলনের সাত দশক

ধারাবাহিকভাবে অমর একুশে ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আজ আমরা বাংলাভাষী জাতিরূপে বিশ্ববিদিত। যথেষ্ট অপূর্ণতা সত্তে¡ও বাংলা ভাষার প্রতি ঐকান্তিক অনুরাগ আমাদের মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন সময়ের ব্যাপার। কালে আমরা সব বাধা উত্তরণে সমর্থ হব, সে বিশ্বাস আমার আছে। more>>

ফুল হাতে কষ্ট চেপে চলে গেলেন তাঁরা

১৮ বছরেও শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। গতকাল সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে।

মেঘলা আর বৃষ্টি। হাতে ফুলের গোছা। সাতসকালে এলেন উপজেলা পরিষদ চত্বরে। জানতেন না সেখানকার শহীদ মিনারটির নির্মাণকাজ আজও শেষ হয়নি। কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকলেন তাঁরা। এরপর কষ্ট মনে চেপে চলে গেলেন। more>>

 জাতীয় ইতিহাসের অনন্য অধ্যায় ভাষা আন্দোলন

১৯৪৭ এর ১৭ মে মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। পাকিস্তান রাষ্ট্র তখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ ঘোষণার প্রতিবাদে বিশিষ্ট ভাষাতত্ত¡বিদ ও উদার দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ দৈনিক আজাদ পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখে বলেন, বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
পাকিস্তান জন্ম নেয়ার পরের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় তমুদ্দিন মজলিস বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করে। সংগঠনটির সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সৈনিক’ও বাংলাভাষার পক্ষে প্রচার চালাতে থাকে। ড. কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর প্রমুখ বুদ্ধিজীবীগণ বাংলার পক্ষে প্রবন্ধাদি লিখতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ করাচিতে অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়। more>>

 

i will add more articles in this post . Thank YOU

  

 

No comments:

EID MUBARAK to everybody