অর্থবছর
অর্থনৈতিক যাবতীয় পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করা ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বার্ষিক সময়সীমা ধরা হয় ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত, যাকে অর্থবছর বলে।
তা ছাড়া অন্যান্য যাবতীয় পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা কর্মসূচি প্রণয়ন ও পরিচালিত হয়ে থাকে বার্ষিক সময় সীমা ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, আমাদের যাবতীয় জীবনযাপন কার্যক্রমের সঙ্গে আর্থিক সংশ্লেষ আছে। এখানে আর্থবছর ধরা হয় ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত আর অন্যান্য কার্যক্রমের বছর ধরা হয় ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার কারণে দুটি ভিন্ন বছরের সময় সীমার পার্থক্যের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
আমার ধারণা, অর্থবছরের বর্তমান নির্ধারিত সময় সীমা ১ জুলাই থেকে ৩০ জুনের পরিবর্তে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর করা হলে উপর্যুক্ত অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছর বিবেচনা করে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাই অর্থমন্ত্রণালয় ও সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে—এ মর্মে অনুরোধ করছি।
মাহতাব আলী
মিরপুর, ঢাকা।
বাদুড়ের অভয়াশ্রম
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ী গ্রামে আছে শতবর্ষী একটি শিশুগাছ ও পুকুরঘেরা বাঁশবন। এই বাঁশবন ও শিশুগাছের ডালে আস্তানা গেড়েছে লাখ লাখ বাদুড়। শুধু বাদুড় ঝোলার দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন এখানে হাজারো লোকের আগমন ঘটে।
মুন্সিবাড়ীর এই বাদুরগুলো বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে সারা দিন ওই বিশাল গাছেই ঝুলে থাকে। সন্ধা হলেই তারা দলবেঁধে ধীর লয়ে ছন্দময় গতিতে উড়ে চলে। সারা রাত খাদ্য সংগ্রহের পর তারা আবার ফিরে আসে আস্তানায়। প্রায় ২০০ বছর ধরে বাদুড়গুলো ওই গাছে আস্তানা গেড়ে আছে। স্বাধীনতার কিছু আগে এখানে আরও অনেক বাদুড় ছিল। প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট, খাবারের উৎস কমে যাওয়া আর একশ্রেণীর মানুষের বৈরী আচরণ এদের স্বাভাবিক বংশবিস্তার আর নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করায় ধীরে ধীরে কমছে বাদুড়ের সংখ্যা।
বাদুড়ের মল থেকে খুব ভালো সার হয়। যে জমিতে এরা মল ত্যাগ করে, সেখানে ফসল ভালো হয়। তাই সরকারি উদ্যোগ বা পৃষ্ঠপোষকতায় রাঙ্গুনিয়ার স্থানটিকে বাদুড়ের অভয়াশ্রম হিসেবে রক্ষা করা দরকার। কেননা, প্রকৃতির জন্যই এসব প্রাণীর টিকে থাকা প্রয়োজন। তা না হলে একটা সময় এসে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের শোভাবর্ধনকারী চিরচেনা এসব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ প্রাণীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
জাহেদুর রহমান
পুরানা পল্টন, ঢাকা।
রাজশাহীর ফুটপাত
রাজশাহী মহানগরের বেশির ভাগ ফুটপাত এখন দখলদারদের কবলে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতের পুরোটাই অবৈধ দখল করে রেখেছেন। নগরের এমন কোনো রাস্তা নেই, যেটি দখলদারের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। দখলদারেরা এমনভাবে রাস্তা দখল করে রেখেছেন, যার ওপর দিয়ে কোনোভাবেই হাঁটা যায় না। বাধ্য হয়ে পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটেন। এতে পথচারীদের ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের একটি দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের দেখার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে যেন তারা চরম উদাসীন। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা মাসিক মাসোয়ারার বিনিময়ে দখলদারদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে দখলদারীদের লোক-দেখানো উচ্ছেদ করলেও পরদিনই তারা আবার এসে বসে। মহানগরের দখল হওয়া ফুটপাতের অধিকাংশই বাজার এলাকা। রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজারের প্রধান রাস্তা, রানীবাজার রাস্তা, লক্ষ্মীপুর মোড় এলাকা, গণকপাড়া, নিউমার্কেট ও বাসস্ট্যান্ডের সামনের এলাকাগুলো সম্পূর্ণটাই অবৈধ দখলদারদের কবলে। ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে রাস্তা দিয়ে চলাচলের ফলে দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অবিলম্বে দখলদারদের কবল থেকে এসব ফুটপাত উদ্ধার করা দরকার। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য রাজশাহী সিটি মেয়র, কাউন্সিলর, পুলিশ কমিশনার, সর্বোপরি ব্যবসায়ী নেতা ও সুশীল সমাজের সুনজর আকর্ষণ করছি।
জাহেদুর রহমান
বাগমারা, রাজশাহী।
No comments:
Post a Comment