তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা চালু করা নিয়ে দেশে চলছে অস্থিরতা। আওয়ামী লীগ সরকার হঠাৎ করে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, অথচ এই প্রথা চালু করার জন্য তারা দেশ তোলপাড় করেছিল। ভুক্তভোগী হয়েছিল জনগণ। আওয়ামী লীগের দাবিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা চালু হয়। বর্তমানে এই দাবি শুধু বিরোধী দলের নয়, এই দাবি জনগণের, যা অবশ্যই সরকারকে মেনে নিতে হবে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর তিন বছরে সব ক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা মানুষের মনে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, তেল, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, অপরাধী শাস্তি না পাওয়া, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাসীন দলের আসামিদের ক্ষমা করে দেওয়া, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া, শেয়ার কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি প্রভৃতি বিষয় সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তা ছাড়া সরকার যেসব প্রকল্পের ওয়াদা করেছিল, যেমন-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা—যার কোনোটিই পূরণ হয়নি।
সরকার শেষ সময়ে এসে বুঝতে পেরেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের পক্ষে আবার নির্বাচিত হওয়ার আশা ক্ষীণ, তাই তত্ত্বাবধায়কের প্রথা বাতিল করার এই অপচেষ্টা।
আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। আশা করি সরকার জনমত উপেক্ষা করবে না। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য, নিজ স্বার্থে তা ক্ষুণ্ন করার কোনো অধিকার সরকারের নেই।
নূর জাহান
এসএম খালেদ রোড, চট্টগ্রাম।
টাকায় পত্র লেখা
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে সম্প্রতি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এসএমএস, এমএমএস, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি বহুল পরিচিত এবং এগুলো শক্ত মাধ্যমও বটে! ফেসবুকে বিভিন্ন বন্ধুকে অনুরোধ অফার পাঠিয়ে বন্ধু হওয়া আজকাল হারহামেশাই হচ্ছে। তবুও কেন মানুষ টাকার মাধ্যমে অফার করছে? প্রতিদিন দেখতে হয়, টাকার গায়ে মুঠোফোন নম্বরসহ লেখা, ‘বন্ধু হতে চাই।’ দেখলাম, একজন নিজেকে বিজিবির সদস্য পরিচয় দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি খুব দুঃখী, আমি একজন বিজিবির সদস্য, বিরামপুর।’ ঠিক ওই দিনই আবার দেখলাম, কুড়িগ্রামের শিক্ষিত এক যুবক নামের শেষে ‘এমকম’ লিখে ঠিকানা দিয়েছেন। টাকার গায়ে লেখা দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু তাই নয়, এতে টাকার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও সরকারের ওপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. ফজলে রাব্বী
দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর।
No comments:
Post a Comment