সুস্থ শিক্ষাঙ্গন
জ্ঞান অর্জনের জন্য অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠান। আমরা একই ধরনের সীমাবদ্ধ পড়া পড়তে যেমন বিরক্ত হই, তেমনি তাঁদের—‘এখন এখানে পড়ো, সেখানে গিয়ে পড়ো, এর কাছে পড়ো, তার কাছে পড়ো, তার মতো পড়ো’ শুনতেও বিরক্ত হই। তাঁদের বুঝিয়ে বললে আমরা ছোট মুখে বড় বক্তৃতা দিয়ে ফেলি। প্রতিবাদ করলে ‘নষ্ট সন্তান’ হয়ে যাই। ক্লাসে প্রথম হয়েও কোনো উৎসাহ পাই না। এত বিরক্তি নিয়েও জোর করে আমরা আমাদের পাঠ্যবইয়ে ‘সীমাবদ্ধ’ পড়াটি পড়তে চাই।
আমরা শ্রদ্ধেয় অভিভাবকদের আদরের সন্তান ও গর্বের বস্তু হতে চাই। সীমাবদ্ধ জ্ঞানে যেমন জানার আগ্রহ পূরণ হয়, বিদ্যালয়গুলোতে তেমন ব্যবস্থাও গৃহীত হয় না। ‘লাইব্রেরি’ সিল লাগানো একচিলতে কক্ষটাও তাই এখন রান্নাঘর! বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিই যদি না থাকে, কতটা বিদ্যা সেখানে অর্জন করা সম্ভব, তা সবাই বুঝতে পারে। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ তো দিয়ে দেয়। পরীক্ষাটা জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য, নাকি উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য—এর খোঁজ কেউ রাখে না। এখন ৬০ শতাংশ সৃজনশীলতার যাচাই হলেও (যদিও অধিকাংশই গাইড বইয়ের অনুসারে প্রশ্ন করা হয়) ৪০ শতাংশ নম্বর মুখস্থভিত্তিক নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নানা রকম সমস্যার মধ্যে আরও এক সমস্যা শিক্ষকদের মধ্যেও বিরাজমান। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা বলেন, আমরা যদি তাঁদের কাছে জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে না যাই, তাহলে পরীক্ষায় ফেল সুনিশ্চিত। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা তাঁদের ‘শিষ্যদের’ কাছে প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করে দেন। এভাবে তাঁদের অত্যন্ত কঠিন ও বইয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের প্রশ্নপত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী পাস করে না এবং ‘বিজ্ঞান’ বিভাগ থেকে তাঁদের ‘মানবিক’ বা ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ বিভাগে পাঠানোর আশঙ্কা থাকে। একটি ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার এরূপ ষড়যন্ত্র এবং শিক্ষকের এরূপ চরিত্র কে সংশোধন করবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
পানির সংকট
প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিরাপদ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে দূষিত পানি পান করছে। এ ছাড়া দূষিত পানি দিয়ে গোসল, রান্নার কাজ করার ফলে মানুষ চর্মরোগসহ নানা ক্ষতিকারক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুরা ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় রোগে বেশি ভুগছে। যেকোনো সময় এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। প্রতিনিয়ত নিরাপদ পানির অভাবে মানুষের হাহাকার বাড়ছে। অথচ প্রতিবছর গ্রীষ্মকালের শুরুতেই ওয়াসা কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিলে মানুষকে এই দুর্ভোগে পড়তে হয় না। কাজেই মানুষের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ পানি গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উজ্জ্বল দাস পোদ্দার
ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা।
জ্ঞান অর্জনের জন্য অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠান। আমরা একই ধরনের সীমাবদ্ধ পড়া পড়তে যেমন বিরক্ত হই, তেমনি তাঁদের—‘এখন এখানে পড়ো, সেখানে গিয়ে পড়ো, এর কাছে পড়ো, তার কাছে পড়ো, তার মতো পড়ো’ শুনতেও বিরক্ত হই। তাঁদের বুঝিয়ে বললে আমরা ছোট মুখে বড় বক্তৃতা দিয়ে ফেলি। প্রতিবাদ করলে ‘নষ্ট সন্তান’ হয়ে যাই। ক্লাসে প্রথম হয়েও কোনো উৎসাহ পাই না। এত বিরক্তি নিয়েও জোর করে আমরা আমাদের পাঠ্যবইয়ে ‘সীমাবদ্ধ’ পড়াটি পড়তে চাই।
আমরা শ্রদ্ধেয় অভিভাবকদের আদরের সন্তান ও গর্বের বস্তু হতে চাই। সীমাবদ্ধ জ্ঞানে যেমন জানার আগ্রহ পূরণ হয়, বিদ্যালয়গুলোতে তেমন ব্যবস্থাও গৃহীত হয় না। ‘লাইব্রেরি’ সিল লাগানো একচিলতে কক্ষটাও তাই এখন রান্নাঘর! বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিই যদি না থাকে, কতটা বিদ্যা সেখানে অর্জন করা সম্ভব, তা সবাই বুঝতে পারে। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ তো দিয়ে দেয়। পরীক্ষাটা জ্ঞান যাচাইয়ের জন্য, নাকি উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য—এর খোঁজ কেউ রাখে না। এখন ৬০ শতাংশ সৃজনশীলতার যাচাই হলেও (যদিও অধিকাংশই গাইড বইয়ের অনুসারে প্রশ্ন করা হয়) ৪০ শতাংশ নম্বর মুখস্থভিত্তিক নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নানা রকম সমস্যার মধ্যে আরও এক সমস্যা শিক্ষকদের মধ্যেও বিরাজমান। আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকেরা বলেন, আমরা যদি তাঁদের কাছে জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে না যাই, তাহলে পরীক্ষায় ফেল সুনিশ্চিত। প্রকৃতপক্ষে তাঁরা তাঁদের ‘শিষ্যদের’ কাছে প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করে দেন। এভাবে তাঁদের অত্যন্ত কঠিন ও বইয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের প্রশ্নপত্রে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী পাস করে না এবং ‘বিজ্ঞান’ বিভাগ থেকে তাঁদের ‘মানবিক’ বা ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ বিভাগে পাঠানোর আশঙ্কা থাকে। একটি ছাত্রের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার এরূপ ষড়যন্ত্র এবং শিক্ষকের এরূপ চরিত্র কে সংশোধন করবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী।
পানির সংকট
প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই নিরাপদ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে দূষিত পানি পান করছে। এ ছাড়া দূষিত পানি দিয়ে গোসল, রান্নার কাজ করার ফলে মানুষ চর্মরোগসহ নানা ক্ষতিকারক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির অভাবে শিশুরা ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয় রোগে বেশি ভুগছে। যেকোনো সময় এ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। প্রতিনিয়ত নিরাপদ পানির অভাবে মানুষের হাহাকার বাড়ছে। অথচ প্রতিবছর গ্রীষ্মকালের শুরুতেই ওয়াসা কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিলে মানুষকে এই দুর্ভোগে পড়তে হয় না। কাজেই মানুষের মধ্যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপদ পানি গ্রাহকদের মধ্যে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উজ্জ্বল দাস পোদ্দার
ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment