Sunday, April 15, 2012

আবার বিদ্যুৎ, তারপর?

আবার বিদ্যুৎ, তারপর?
গ্রীষ্মকাল শুরু না হতেই গরমের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দুঃসহ লোডশেডিংয়ের কারণে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপন অতিষ্ঠ প্রায়। তার ওপর দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের মনে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মহাজোট সরকারের আমলে এই পর্যন্ত পাঁচবার; এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়। এমনিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম জনগণের হাতের নাগালের বাইরে। এর ওপর একের পর এক দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠেছে। আর এখন আশঙ্কায় আছে, সামনে কিসের দাম বাড়বে?
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। তাঁদের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি কৃষি ক্ষেত্রে, শিল্প ক্ষেত্রে দারুণভাবে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এইসএসসি পরিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে সীমাহীন কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে এবং কৃষকরা সেচের পানি দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। সরকারের এই বিষয়ে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত। আর যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ বিভাগকে আরো উন্নত ও আধুনিকায়ন করে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে, বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। এর সঙ্গে বিদ্যুতের দাম একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের আশু পদক্ষেপ কামনা করছি।

সনেট দেব
সম্মান তৃতীয় বর্ষ, অর্থনীতি বিভাগ
চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম

উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই

পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকট নিরসনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে এগুলোর উৎপাদন না বাড়িয়ে অন্য যত ব্যবস্থাই নেওয়া হোক না কেন, কোনো ফললাভ হবে না। কারণ, দেশের জনসংখ্যা স্থির থাকে না; ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। যমুনা ও পদ্মা সেতুর মতো এত বড় প্রকল্প যদি বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তাহলে জাতির প্রশ্ন_নতুন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন কি এর চেয়েও কঠিন কাজ? নিশ্চয়ই নয়। গ্যাস সংকট নিরসনে নতুন গ্যাস ক্ষেত্রের অনুসন্ধানকাজ জোরালো ও দ্রুত করতে হবে। সহজলভ্য ও সস্তায় বিকল্প জ্বালানির সরবরাহ ও একে উৎসাহিত করতে হবে। আর পানির হাহাকার মোকাবিলা করতে হলে উন্নত বিশ্বের মতো ভূ-উপরিভাগের পানি বিশুদ্ধকরণ স্থাপনা আরো বেশি করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং কঠোরভাবে অপচয় রোধ করতে হবে।
হুমায়ুন কবির
শিক্ষক, সালেহা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
হাজারীবাগ, ঢাকা-১২০৫

http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=03-04-2012&type=main&cat_id=2&menu_id=36

No comments:

EID MUBARAK to everybody