Sunday, April 15, 2012

রেলের ‘কালো বিড়াল

রেলের কালো বিড়াল বের করতে গিয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিজেই এখন বেকায়দায়। প্রথম দিন মিডিয়ার কাছে তিনি বলেছিলেন, ‘ফারুককে ব্ল্যাকমেইল ও হাইজ্যাক করার জন্য গাড়িচালক পিলখানায় ঢুকে পড়ে।’ কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটা একটা ঐক্যবদ্ধ গোষ্ঠীর কাজ, এই গোষ্ঠী ৪০ বছরের সুবিধাভোগী আমলা, রাজনীতিক ও ঠিকাদার।’ এদিকে গাড়িতে থাকা তিনজন কর্মকর্তাই বলেছেন, গাড়িটি মন্ত্রীর বাসার উদ্দেশেই যাচ্ছিল।
রেল কর্মকর্তাদের টাকাসহ ধরা পড়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন—জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার তাঁর নেই। এটা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অধীন।’ তাহলে রেলের কর্মকর্তারা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
মন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিপদে আছেন, গণতন্ত্র বিপদে আছে। মন্ত্রীর বিপদে থাকার সঙ্গে গণতন্ত্রের কী সম্পর্ক?
মাননীয় মন্ত্রী, আমরা আপনাকে অবিশ্বাস করছি না, শুধু বলছি, তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতে আপাতত দায়িত্ব ছেড়ে দিন। তারপর যদি প্রমাণ করতে পারেন আপনি নির্দোষ, তাহলে আবার ফিরে আসবেন স্বপদে।
এতে কি মনে করতে পারি যে ‘রেলের কালো বিড়ালটা যে কোথায় লুকিয়ে আছে তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখছে না।’ তাই মাননীয় মন্ত্রীর কাছে সবিনয় অনুরোধ, আপনি বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হয়ে গণতন্ত্রের প্রতি একটু শ্রদ্ধাশীল হোন, গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে থলের কালো বিড়ালটা বের করে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন, এটা দেশের জনগণের একান্ত আশা।
আলমগীর হোসেন
রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর।

No comments:

EID MUBARAK to everybody