Monday, April 30, 2012

দুই দলের দুই ইস্যু

দুই দলের দুই ইস্যু
সরকারি দলের ইস্যু হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। অন্যদিকে বিরোধী দলের ইস্যু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। প্রতিদিন এই দুটি বিষয় শুনতে শুনতে মানুষ অতিষ্ঠ। তাই সরকারি দলের উচিত, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা না বলে বিচার নিশ্চিত করা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করে বিরোধী দলকে আন্দোলন থেকে বিরত রাখা। সরকার যুদ্ধাপরাধীদের আটক করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে জাতির সামনে। তাই সরকার যুদ্ধাপরাধের কথা মুখে না বলে কাজে প্রমাণ করলে মানুষ বেশি খুশি হবে। বিচারকাজে যেন কোনো প্রতিহিংসা কাজ না করে, কাউকে যেন হেয়প্রতিপন্ন করা না হয়। যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করা সরকারের চ্যালেঞ্জ। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গণমানুষের দাবি, যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জাতীয় নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ হয়, সেদিকে সরকার সচেষ্ট হবে।
মো. ফারুকুল আলম, এমএ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষক নিয়োগ
সারা দেশে রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধামান উল্লেখ করে ৮ এপ্রিল চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওই নিয়োগে যথার্থ মেধামান মূল্যায়িত হচ্ছে না। যেমন, কোনো একটি উপজেলায় বা ইউনিয়নে মোট ২৫টি পদ শূন্য আছে। ওই শূন্যপদের বিপরীতে ১ থেকে ২৫ পর্যন্ত মেধামান সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে মেধামান প্রথম স্থান অধিকার করেও সেই পুরুষ প্রার্থী নিয়োগ পাচ্ছেন না। ২৫টি পদের মধ্যে নারী ৬০% ও পুরুষ ৪০% নিয়োগদান করলেও ৮-১০ জন পুরুষ শিক্ষক হওয়ার কথা। তা হলে ছেলেরা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে অনেকটা মুক্তি পাবে।
ওই নিয়োগে স্কুলের ওপর অনুপাত করে নিয়োগদান করলে ১০০% নারী শিক্ষক নিয়োগ পাবেন। কেননা, আগে পুরুষের সংখ্যা বেশি ছিল। রেজি. বেসরকারি প্রা. বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পদে ওই নিয়োগেই যেন মেধামান ও নারী-পুরুষ অনুপাত বজায় থাকে, সে জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আকতার, নওগাঁ সদর।

রোগীদের বিড়ম্বনা
দেশের ডায়াবেটিক রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে বারডেম। এ হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের অধিকাংশই বৃদ্ধ এবং ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। কিন্তু সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে, বিভিন্ন ওষুধ ক্রয় বা রোগনির্ণয়ের ফি বাবদ ‘ক্যাশ কাউন্টারে’ টাকা জমাদানের জন্য রোগীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীকে সেবা প্রদানের জন্য মাত্র দুটি কাউন্টার খোলা রাখা হয়। ফলে বৃদ্ধ রোগীদের বিড়ম্বনার সীমা থাকে না। তাই ‘কাউন্টারের’ সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. কামরুল হাসান
কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-04-29/news/253790

No comments:

EID MUBARAK to everybody