ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলেও পশ্চিমা বিশ্ব তাকিয়ে দেখছে। জাতিসংঘ কিংবা আরব দেশগুলোরও জোরালো প্রতিবাদ নেই। ফিলিস্তিনিরা আজ নিজ দেশে পরবাসী। এমনকি অধিকৃত ভূখণ্ডেও তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। শুধু বিশ্ববিবেক জাগ্রত হলেই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান হতে পারে। কালের কণ্ঠের পাঠকরা ফোনে ও ই-মেইলে দেওয়া মতামতে এমন অভিমতই তুলে ধরেছেন - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/motamot/2014/07/19/108467#sthash.VkGwIAri.dpuf
* বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে হামলা হলে মুসলিম দেশগুলো কেন একত্র হয়ে এর প্রতিবাদ করে না, এটা ভাবার বিষয়। তারা কেন যে একত্র হয়ে এর প্রতিবাদ করে না, সেটা আমার ঠিক বোধগম্য হয় না। ওআইসি ও আরব বিশ্বের এখনই একীভূত হয়ে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিবাদ করা উচিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এর প্রতিবাদ করা দরকার। কেন যে তারা এখনো কথা বলছে না, সেটাও ঠিক বোধগম্য নয়। বিশ্বের মুসলমানদের গাজায় হামলা বন্ধে এমন প্রতিবাদ করা উচিত, যেন সারা বিশ্বের মানুষ মুসলমানদের শক্তি সম্পর্কে অবগত হয়। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো এখনো এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। তারা এখনো নীরব। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিকভাবে এখনই বিষয়টির প্রতিবাদ করা দরকার।
মোহাম্মদ ইউসুফ লক্ষ্মীপুর।
* ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যেভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু জাতিসংঘ এখনো এ ঘটনা নিয়ে নিশ্চুপ। আমরা এর আগে দেখেছি পাকিস্তানের মালালাকে নিয়ে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কী করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শত শত মালালাকে ইসরায়েলিরা মেরে ফেলছে অথচ এখন জাতিসংঘ নিশ্চুপ। ইসরায়েল হলো আমেরিকা আর জাতিসংঘের পোষা কুকুর। আজ বিশ্ব মুসলমানদের এক হওয়া জরুরি। আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করছি। বিশ্ব মুসলমানদের জন্য দোয়া করছি।
জামিল সিলেট।
* ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, তা অত্যন্ত অমানবিক এবং এটি মানবতার চরম অবক্ষয়। গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারী-পুরুষ হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু কেউ তার প্রতিবাদ করছে না। মনে হচ্ছে, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। কোথায় গেল আজ মানবতা, মানবাধিকার সংগঠন, কোথায় আজ জাতিসংঘ? সবাই আজ নীরব কেন? আমেরিকার সাহসেই ইসরায়েল আজ এমন বর্বরতা দেখানোর সাহস পাচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগছে, সারা বিশ্বের মুসলমান রাষ্ট্রগুলোও আজ কোনো কথা বলছে না। কী অপরাধ করেছে গাজার হাজার হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ? ফিলিস্তিন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদেরও তাদের পাশে থাকা উচিত। সরকারিভাবে প্রতিবাদ করা হলেও বাংলাদেশি জনগণের দিক থেকে এখনো তেমন একটা প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে বিশ্ববাসীকে জানানোর চেষ্টা করি- অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি অন্যান্য দেশও এর প্রতিবাদ জানালে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সোচ্চার হবে।
জাহাঙ্গীর কবীর পলাশ শ্রীধরপুর, মুন্সীগঞ্জ।
* ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে গাজাবাসীর কথা ভাবতে হবে। ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে হামাস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মিল ঘটাতে হবে। জাতিসংঘেরও উচিত সবাইকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গাজাকে সাহায্য করা সবার মানবিক দায়িত্ব। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর উচিত জোরালো ভূমিকা রেখে ইসরাইলকে চাপে ফেলা, যাতে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
নাঈম মনিপুর, ঢাকা।
* গাজায় ইসরায়েলের হামলায় শত শত শিশুসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৯ জন শিশুসহ আড়াই শতাধিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭ শর ওপরে। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনিদের শত শত বাড়িঘর। এই সহিংসতা নিয়ে মিসরে এখনো আলোচনা চলছে। গাজায় ৮ জুলাই থেকে ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন এই হামলা বন্ধে এগিয়ে আসে। এই পবিত্র রমজান মাসে আর যেন কোনো রক্ত না ঝরে। আর যদি এমন হামলা-সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সহিংসতা অন্য কোনো আকারে রূপ নিতে পারে। বিশ্বের সব দেশ এক হয়ে এখনই এর প্রতিবাদ করা উচিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের সরকারও যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ পৌঁছে দেয়।
মোহাম্মদ আলী হাজারীবাগ রোড, ঢাকা।
* ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। প্রতিদিনই নারী-শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে ইসরায়েলি হায়েনারা। এত নারী-শিশু হত্যার ঘটনার পরও বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোসহ আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশেষ করে ওআইসি, আরব রাষ্ট্র এবং আমেরিকা, ইউরোপ ও জাতিসংঘের নীরবতা বা দায়সারা গোছের প্রতিক্রিয়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
যেখানে নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা নাড়া দিয়েছে, সবাই সেখানে কানে তুলো দিয়ে বসে আছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী সমাধান জরুরি। পৈশাচিক কায়দায় মানুষ হত্যার এই ইসরায়েলি উৎসব আর চলতে দেওয়া যায় না। নিক্ষিপ্ত বোমায় নারী-শিশুর আর্তচিৎকার জাগ্রত করুক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশ্ববিবেককে। আরো দাবি জানাচ্ছি, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হোক। এ পথে এগোলেই শান্তি ফিরে আসতে পারে। ফিলিস্তিনের নারী-শিশুরাও আর এভাবে লাশ হবে না। মধ্যপ্রাচ্যে আসবে স্থিতিশীলতা।
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম মরিয়মনগর, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
* ইসরায়েলি আগ্রাসনে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে গাজায়। ইহুদিরা যেভাবে মুসলিম নিধন করছে, এটা দুঃখজনক। তাই যুদ্ধবিরতি জরুরি দরকার। স্থায়ী সমাধানে শান্তির আলোচনা দ্রুত হোক- এই দাবি থাকল।
শিবু প্রসাদ মজুমদার কলাবাগান, ঢাকা।
* ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, গাজার প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা কোনো আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ হামলা বন্ধ করবেন না। মূলত ইসরায়েলি হামলা বন্ধে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাবের আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বিধায় ইসরায়েলিরা তা পালন করতে বাধ্য নয়। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদশা, বিধ্বস্ততা, নিঃসঙ্গ অস্তিত্ব, মানবিক বিপর্যয়, হালের শত শত ফিলিস্তিনির লাশ ও পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের গৃহহীন অবস্থা মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষপাতের নির্মম দৃষ্টান্তের ফসল। অবশ্য আরব রাষ্ট্রগুলোর নৈতিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব, মুসলিম দেশের জনগণের অনৈক্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব বর্বর হামলার জন্য কম দায়ী নয়। তবে ইসরায়েলকেও বুঝতে হবে, দুর্গরাষ্ট্র হয়ে থাকার মধ্যে তাদের নিরাপত্তা ও সুখ-শান্তি আসবে না। ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য ভূমি ও তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ফেরত দেওয়ার মধ্যেই তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিহিত। সমগ্র আরবকে পদানত রাখার বাসনা আখেরে তাদের পতনের কারণ হয়ে ওঠাও বিচিত্র নয়। স্মরণ রাখতে হবে, ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিরা ১৫টি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বিশ্ব পরিমণ্ডলে তাদের অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার যাত্রায় বহুদূর এগিয়ে গেছে। কাজেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজের মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও সমঝোতার পথ খুলতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরাও দৃঢ়মত পোষণ করি।
ভূঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী
হাজীপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
* ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। আন্তর্জাতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করা এবং তাদের আর্থিক সহায়তা করা উচিত।
কামরুজ্জামান
ঝিনাইদহ।
* ইসরায়েলিরা বর্বর বিমান হামলা করে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। রেহাই পাচ্ছে না অসহায় শিশু, নারীও। এমনকি নবজাতকও ইসরায়েলের বিমান হামলার কবল থেকে রেহাই পায়নি। আমরা বর্বর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিবেক কেন এখনো এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধমূলক ভূমিকা নিচ্ছে না? এখনই সময় বর্বরতর এই গণহত্যা বন্ধের। কারণ এই যুদ্ধে কারো জিত নেই, কারো হার নেই। শুধু হত্যা আর হত্যা। আমরা এর অবসান চাই।
মনজু খন্দকার
চুয়াডাঙ্গা।
* গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে তা বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। ইতিমধ্যে নারী-শিশুসহ আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এখন সময় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখা, যাতে ইসরায়েল এ আগ্রাসন বন্ধ করে।
কমল রঞ্জন রায়
মিলনবাগ, ময়মনসিংহ।
* ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় নারী ও শিশুসহ অনেকে নিহত হয়েছে। শত শত লোক আহত হয়েছে। আমরা এই হত্যা বন্ধের আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারা যেন অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করে। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই হামলা অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমাদের আহ্বান, তারা যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়।
শেখ মোহাম্মদ আলী তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ।
* গাজার মানুষের সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রেরও এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে; কারণ তাদেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইঙ্গিতে ইসরায়েল একের পর এক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
সাদনান সারার
ঝিনাইদহ, পাগলা, কানাই।
* ১৯৪৮ সালে ইনডিপেনডেনস হলের সমাবেশ থেকে যে ইসরায়েলের জম্ম হয়েছিল, আজ ২০১৪ সালে অর্থাৎ ৬৬ বছরে সেই ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিন নয়, সমগ্র আরব সাম্রাজ্য তাদের করতলে রাখতে সচেষ্ট। অথচ ইতিহাসের নির্মম সত্য হলো, বর্তমানে গাজায় যে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি গাদাগাদি করে বাস করছে, সেখানে ১৯৪৮ সালের শুরুতে কোনো ইসরায়েলি ছিল না। ছিল ফিলিস্তিনি আরব। তাদের গ্রামটির নাম ছিল হুজ। ওই সময় তারা ইসরায়েলের শত্রুও ছিল না। বরং ১৯৪৬ সালের দিকে ব্রিটিশ আর্মির হাত থেকে বাঁচতে ইহুদিদের (হাগানা যোদ্ধাদের) আশ্রয় দিয়েছিল এই ফিলিস্তিনি আরবরা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর ১৯৪৮ সালের ৩১ মে ইসরায়েলি বাহিনী হুজে ঢুকেই আরব ফিলিস্তিনিদের ঘরছাড়া করেছিল। আর আরব ফিলিস্তিনিরা রাতারাতি গাজা উপত্যকায় শরণার্থী পরিচয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন শুরু করে।
ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন স্বীকার করেছিলেন, কাজটি অন্যায় হয়েছে। কিন্তু তত দিনে ফিলিস্তিনি আরবদের ভাগ্য নিয়তির নিষ্ঠুর হাতে বলি হয়ে গেছে। আজ তাদের 'সন্ত্রাসী' তকমা দিয়ে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার কথা বলে হেন হামলা নেই, যা তাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে না। এই বর্বরতা বন্ধ হোক।
আবদুর রহিম
বালীগঞ্জ, নরসিংদী।
* গোড়ায় গলদ যেখানে, সেখানে কি কোনো ওষুধ কাজে লাগবে? একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, 'যেখানে তালগাছটি আমার রেখে' বিচারের চিন্তা করা হয়, সেখানে ন্যায্যতা বা ন্যায়বিচার ধুলোয় গড়াগড়ি খায়। আমেরিকাকে আমরা মোড়লের আসনে বসিয়েছি। কিন্তু সেই মোড়লটা তো একচোখা। চারপাশে লক্ষ যোজন বর্গকিলোমিটারের ডজনখানেক দেশ অথচ ওই সামান্য কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশটির হাতে ছড়ি দিয়ে রেখেছে ওই সামন্ত প্রভু আমেরিকা। ইরাক, সুদান, লিবিয়া, মিসর কিংবা কাতার, কুয়েত, এমনকি ইরানে তাদের ঘরের ভেতরে পান থেকে চুন খসলেই গেল গেল শোর ওঠে ওই সব মোড়লের ঘরে। এমনকি সাত সমুদ্র পার হয়ে সেনা ও অস্ত্র পাঠিয়ে সে দেশকে ছত্রখান করতেও তার সময় লাগে না। অথচ ইসরায়েল নামের একটি বেজন্মা রাষ্ট্র, যেটি তৈরি হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঝেঁটিয়ে আনা কিছু উচ্ছিষ্ট ইহুদি দিয়ে, সেই ইসরায়েল যখন তাদের এক বালক নিখোঁজের দোহাই দিয়ে পাশের দেশে আধুনিক অস্ত্র সমন্বয়ে নিধনযজ্ঞ চালায়, তখন এই ভূগ্রহের মোড়লটি চুপ করে থাকে। দেখেও যেন কিছুই দেখে না। একটি প্রবাদ আছে- হিটলার নাকি বলেছিলেন, 'আমি ইচ্ছে করলে সব ইহুদিকে মেরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু কিছু বাঁচিয়ে রাখলাম এই ভেবে যে বাকি দুনিয়া দেখুক আসলে ওরা মনুষ্যজাতির কত বড় কলঙ্ক।' আমরা তো তা-ই দেখছি। তাই 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয়' বলতে কি আদৌ কিছু থাকে? ইহুদিপুষ্ট আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স নামের ভেটোধারীদের কাকে নিয়ে সালিসে বসবেন? তালগাছটি বাদ দিয়েই না সালিস শুরু হবে। আসুন না, দুনিয়াজুড়ে ইহুদিদের কর্তৃত্ববাদী শিকড়কে আগে উৎপাটন করায় মনোযোগী হই। শক্তি নয়, নবী করিম (সা.)-এর প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার জয়গান গেয়ে দুনিয়াতে শান্তির চারা রোপণ করি। তখন দেখবেন, দুনিয়াজোড়া দুষ্টচক্রের এই অপকীটগুলো অবধারিতভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।
জালাল উদ্দিন আহমেদ
তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
* গাজায় মানবতাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বিশ্ববিবেকের ঘুম ভাঙবে কবে? মানুষ মানুষকে মারতে পারে না। বিশ্ববিবেক কি তবে পরাস্ত? মুসলমানকে নয়, মানব জাতিকে রক্ষা করা প্রয়োজন। কোমলমতি শিশুদের লাশ আর দেখতে চাই না। বাবার হাতে সন্তানের লাশ খুব ভারী। যারা মারছে তারা কি সন্তানহীন? আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান অবশ্যই সম্ভব।
রুদ্র হাসান খান
কোনাবাড়ী, গাজীপুর।
* এখন চাই বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর মানবিক বিবেচনা। মূলত পশ্চিমাদের একচোখা নীতির কারণেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা টিকে আছে দশকের পর দশক। ফিলিস্তিনিদের বেলায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না- ইসরায়েল যা জানান দিয়েছিল ত্রাণবাহী জাহাজে হামলার মাধ্যমে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলের প্রতি প্রবল চাপ প্রয়োগ করা, যেটা জাতিসংঘের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। নতুবা নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে।
পান্না রানী তালুকদার
রামজীবনপুর, দিরাই, সুনামগঞ্জ।
* ইসরায়েলি এই বর্বর হামলার আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক সব সংগঠনকে এই হামলার প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই।
রমিতা ইসলাম
কুষ্টিয়া।
* সত্যিকার অর্থেই মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে গাজাতে। টানা ১০ দিনের বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় স্থল অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। গত ৮ জুলাই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে অন্তত আড়াই শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো সহস্রাধিক মানুষ। তারা চিকিৎসাও পাচ্ছে না।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এক হাজার ৩৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
এখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায়? কোথায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ? তাদের চোখে কি কিছুই ধরা পড়ছে না? অন্ধ ও বিবেকহীন হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এর দায় নিতে হবে। পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা। যত ধরনের অবরোধ আছে, সব প্রয়োগ করতে হবে ইসরায়েলের প্রতি। প্রয়োজনে সব দেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানাব জাতিসংঘে। এই মানবিক বিপর্যয়, মানবিকতার এই পরাজয় মেনে নেওয়া যায় না।
হাসান আহমেদ মুনীর
পার্বতীপুর, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ।
* আজ আমরা দেখছি ফিনিস্তিনিদের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসবাস। উড়ে এসে জুড়ে বসে এই ইসরায়েলি ইহুদিরাই বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যখন ফিলিস্তিনে এই অমানবিক বিপর্যয় ঘটতে চলেছে একের পর এক, তখন কেন বিশ্বসম্প্রদায় নীরব ও নিশ্চুপ? অবশ্য মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
মিসরসহ মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধ বন্ধের প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেনি। জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও হামলা করে শিশুসহ ২৫০ জন নীরহ মানুষ হত্যা করল নতুন করে। ফিলিস্তিনিদের অপরাধ কী? তাদের ওপর কেন নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা, নিন্দা, প্রতিবাদ করেছে। যদিও বিএনপি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সে যা-ই হোক, আমরা চাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শান্তি ফিরে আসুক। আর এই রোজায় যেন আর কোনো প্রাণ না ঝরে। এই হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক যেন জাগ্রত হয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো যেন রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানায়- আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
ফারুক আহমেদ বাগমারা, রাজশাহী।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/motamot/2014/07/19/108467#sthash.QdXJACzt.dpuf - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/motamot/2014/07/19/108467#sthash.QdXJACzt.dpuf
* বিশ্বের কোনো মুসলিম দেশে হামলা হলে মুসলিম দেশগুলো কেন একত্র হয়ে এর প্রতিবাদ করে না, এটা ভাবার বিষয়। তারা কেন যে একত্র হয়ে এর প্রতিবাদ করে না, সেটা আমার ঠিক বোধগম্য হয় না। ওআইসি ও আরব বিশ্বের এখনই একীভূত হয়ে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিবাদ করা উচিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এর প্রতিবাদ করা দরকার। কেন যে তারা এখনো কথা বলছে না, সেটাও ঠিক বোধগম্য নয়। বিশ্বের মুসলমানদের গাজায় হামলা বন্ধে এমন প্রতিবাদ করা উচিত, যেন সারা বিশ্বের মানুষ মুসলমানদের শক্তি সম্পর্কে অবগত হয়। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলো এখনো এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করেনি। তারা এখনো নীরব। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিকভাবে এখনই বিষয়টির প্রতিবাদ করা দরকার।
মোহাম্মদ ইউসুফ লক্ষ্মীপুর।
* ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যেভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু জাতিসংঘ এখনো এ ঘটনা নিয়ে নিশ্চুপ। আমরা এর আগে দেখেছি পাকিস্তানের মালালাকে নিয়ে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো কী করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শত শত মালালাকে ইসরায়েলিরা মেরে ফেলছে অথচ এখন জাতিসংঘ নিশ্চুপ। ইসরায়েল হলো আমেরিকা আর জাতিসংঘের পোষা কুকুর। আজ বিশ্ব মুসলমানদের এক হওয়া জরুরি। আমরা ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করছি। বিশ্ব মুসলমানদের জন্য দোয়া করছি।
জামিল সিলেট।
* ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, তা অত্যন্ত অমানবিক এবং এটি মানবতার চরম অবক্ষয়। গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারী-পুরুষ হত্যা করা হচ্ছে, কিন্তু কেউ তার প্রতিবাদ করছে না। মনে হচ্ছে, সারা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। কোথায় গেল আজ মানবতা, মানবাধিকার সংগঠন, কোথায় আজ জাতিসংঘ? সবাই আজ নীরব কেন? আমেরিকার সাহসেই ইসরায়েল আজ এমন বর্বরতা দেখানোর সাহস পাচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগছে, সারা বিশ্বের মুসলমান রাষ্ট্রগুলোও আজ কোনো কথা বলছে না। কী অপরাধ করেছে গাজার হাজার হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ? ফিলিস্তিন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আমাদেরও তাদের পাশে থাকা উচিত। সরকারিভাবে প্রতিবাদ করা হলেও বাংলাদেশি জনগণের দিক থেকে এখনো তেমন একটা প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে বিশ্ববাসীকে জানানোর চেষ্টা করি- অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি অন্যান্য দেশও এর প্রতিবাদ জানালে জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সোচ্চার হবে।
জাহাঙ্গীর কবীর পলাশ শ্রীধরপুর, মুন্সীগঞ্জ।
* ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের অবস্থান থেকে সরে এসে গাজাবাসীর কথা ভাবতে হবে। ফিলিস্তিনিদের নিজেদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে হামাস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মিল ঘটাতে হবে। জাতিসংঘেরও উচিত সবাইকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গাজাকে সাহায্য করা সবার মানবিক দায়িত্ব। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর উচিত জোরালো ভূমিকা রেখে ইসরাইলকে চাপে ফেলা, যাতে তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
নাঈম মনিপুর, ঢাকা।
* গাজায় ইসরায়েলের হামলায় শত শত শিশুসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৯ জন শিশুসহ আড়াই শতাধিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭ শর ওপরে। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ফিলিস্তিনিদের শত শত বাড়িঘর। এই সহিংসতা নিয়ে মিসরে এখনো আলোচনা চলছে। গাজায় ৮ জুলাই থেকে ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন এই হামলা বন্ধে এগিয়ে আসে। এই পবিত্র রমজান মাসে আর যেন কোনো রক্ত না ঝরে। আর যদি এমন হামলা-সহিংসতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সহিংসতা অন্য কোনো আকারে রূপ নিতে পারে। বিশ্বের সব দেশ এক হয়ে এখনই এর প্রতিবাদ করা উচিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের সরকারও যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ পৌঁছে দেয়।
মোহাম্মদ আলী হাজারীবাগ রোড, ঢাকা।
* ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। প্রতিদিনই নারী-শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে ইসরায়েলি হায়েনারা। এত নারী-শিশু হত্যার ঘটনার পরও বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোসহ আন্তর্জাতিক সমাজ, বিশেষ করে ওআইসি, আরব রাষ্ট্র এবং আমেরিকা, ইউরোপ ও জাতিসংঘের নীরবতা বা দায়সারা গোছের প্রতিক্রিয়া কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
যেখানে নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা নাড়া দিয়েছে, সবাই সেখানে কানে তুলো দিয়ে বসে আছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী সমাধান জরুরি। পৈশাচিক কায়দায় মানুষ হত্যার এই ইসরায়েলি উৎসব আর চলতে দেওয়া যায় না। নিক্ষিপ্ত বোমায় নারী-শিশুর আর্তচিৎকার জাগ্রত করুক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিশ্ববিবেককে। আরো দাবি জানাচ্ছি, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা হোক। এ পথে এগোলেই শান্তি ফিরে আসতে পারে। ফিলিস্তিনের নারী-শিশুরাও আর এভাবে লাশ হবে না। মধ্যপ্রাচ্যে আসবে স্থিতিশীলতা।
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম মরিয়মনগর, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।
* ইসরায়েলি আগ্রাসনে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে গাজায়। ইহুদিরা যেভাবে মুসলিম নিধন করছে, এটা দুঃখজনক। তাই যুদ্ধবিরতি জরুরি দরকার। স্থায়ী সমাধানে শান্তির আলোচনা দ্রুত হোক- এই দাবি থাকল।
শিবু প্রসাদ মজুমদার কলাবাগান, ঢাকা।
* ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, গাজার প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা কোনো আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ হামলা বন্ধ করবেন না। মূলত ইসরায়েলি হামলা বন্ধে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, সেই প্রস্তাবের আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বিধায় ইসরায়েলিরা তা পালন করতে বাধ্য নয়। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে ফিলিস্তিনিদের বন্দিদশা, বিধ্বস্ততা, নিঃসঙ্গ অস্তিত্ব, মানবিক বিপর্যয়, হালের শত শত ফিলিস্তিনির লাশ ও পাঁচ সহস্রাধিক মানুষের গৃহহীন অবস্থা মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষপাতের নির্মম দৃষ্টান্তের ফসল। অবশ্য আরব রাষ্ট্রগুলোর নৈতিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব, মুসলিম দেশের জনগণের অনৈক্য ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব বর্বর হামলার জন্য কম দায়ী নয়। তবে ইসরায়েলকেও বুঝতে হবে, দুর্গরাষ্ট্র হয়ে থাকার মধ্যে তাদের নিরাপত্তা ও সুখ-শান্তি আসবে না। ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য ভূমি ও তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ফেরত দেওয়ার মধ্যেই তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিহিত। সমগ্র আরবকে পদানত রাখার বাসনা আখেরে তাদের পতনের কারণ হয়ে ওঠাও বিচিত্র নয়। স্মরণ রাখতে হবে, ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিরা ১৫টি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বিশ্ব পরিমণ্ডলে তাদের অস্তিত্ব সুদৃঢ় করার যাত্রায় বহুদূর এগিয়ে গেছে। কাজেই জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজের মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও সমঝোতার পথ খুলতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরাও দৃঢ়মত পোষণ করি।
ভূঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী
হাজীপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
* ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। আন্তর্জাতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করা এবং তাদের আর্থিক সহায়তা করা উচিত।
কামরুজ্জামান
ঝিনাইদহ।
* ইসরায়েলিরা বর্বর বিমান হামলা করে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে। রেহাই পাচ্ছে না অসহায় শিশু, নারীও। এমনকি নবজাতকও ইসরায়েলের বিমান হামলার কবল থেকে রেহাই পায়নি। আমরা বর্বর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। বিশ্ববিবেক কেন এখনো এই বর্বরতার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধমূলক ভূমিকা নিচ্ছে না? এখনই সময় বর্বরতর এই গণহত্যা বন্ধের। কারণ এই যুদ্ধে কারো জিত নেই, কারো হার নেই। শুধু হত্যা আর হত্যা। আমরা এর অবসান চাই।
মনজু খন্দকার
চুয়াডাঙ্গা।
* গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে তা বিশ্ববাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। ইতিমধ্যে নারী-শিশুসহ আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এখন সময় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারতসহ ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখা, যাতে ইসরায়েল এ আগ্রাসন বন্ধ করে।
কমল রঞ্জন রায়
মিলনবাগ, ময়মনসিংহ।
* ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় নারী ও শিশুসহ অনেকে নিহত হয়েছে। শত শত লোক আহত হয়েছে। আমরা এই হত্যা বন্ধের আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারা যেন অবিলম্বে এই হামলা বন্ধ করে। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আমাদের অনুরোধ, এই হামলা অবিলম্বে বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমাদের আহ্বান, তারা যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়।
শেখ মোহাম্মদ আলী তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ।
* গাজার মানুষের সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রেরও এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে; কারণ তাদেরই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইঙ্গিতে ইসরায়েল একের পর এক আগ্রাসন চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
সাদনান সারার
ঝিনাইদহ, পাগলা, কানাই।
* ১৯৪৮ সালে ইনডিপেনডেনস হলের সমাবেশ থেকে যে ইসরায়েলের জম্ম হয়েছিল, আজ ২০১৪ সালে অর্থাৎ ৬৬ বছরে সেই ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিন নয়, সমগ্র আরব সাম্রাজ্য তাদের করতলে রাখতে সচেষ্ট। অথচ ইতিহাসের নির্মম সত্য হলো, বর্তমানে গাজায় যে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি গাদাগাদি করে বাস করছে, সেখানে ১৯৪৮ সালের শুরুতে কোনো ইসরায়েলি ছিল না। ছিল ফিলিস্তিনি আরব। তাদের গ্রামটির নাম ছিল হুজ। ওই সময় তারা ইসরায়েলের শত্রুও ছিল না। বরং ১৯৪৬ সালের দিকে ব্রিটিশ আর্মির হাত থেকে বাঁচতে ইহুদিদের (হাগানা যোদ্ধাদের) আশ্রয় দিয়েছিল এই ফিলিস্তিনি আরবরা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ইসরায়েল রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর ১৯৪৮ সালের ৩১ মে ইসরায়েলি বাহিনী হুজে ঢুকেই আরব ফিলিস্তিনিদের ঘরছাড়া করেছিল। আর আরব ফিলিস্তিনিরা রাতারাতি গাজা উপত্যকায় শরণার্থী পরিচয়ে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন শুরু করে।
ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন স্বীকার করেছিলেন, কাজটি অন্যায় হয়েছে। কিন্তু তত দিনে ফিলিস্তিনি আরবদের ভাগ্য নিয়তির নিষ্ঠুর হাতে বলি হয়ে গেছে। আজ তাদের 'সন্ত্রাসী' তকমা দিয়ে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার কথা বলে হেন হামলা নেই, যা তাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে না। এই বর্বরতা বন্ধ হোক।
আবদুর রহিম
বালীগঞ্জ, নরসিংদী।
* গোড়ায় গলদ যেখানে, সেখানে কি কোনো ওষুধ কাজে লাগবে? একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে, 'যেখানে তালগাছটি আমার রেখে' বিচারের চিন্তা করা হয়, সেখানে ন্যায্যতা বা ন্যায়বিচার ধুলোয় গড়াগড়ি খায়। আমেরিকাকে আমরা মোড়লের আসনে বসিয়েছি। কিন্তু সেই মোড়লটা তো একচোখা। চারপাশে লক্ষ যোজন বর্গকিলোমিটারের ডজনখানেক দেশ অথচ ওই সামান্য কয়েক হাজার বর্গকিলোমিটারের দেশটির হাতে ছড়ি দিয়ে রেখেছে ওই সামন্ত প্রভু আমেরিকা। ইরাক, সুদান, লিবিয়া, মিসর কিংবা কাতার, কুয়েত, এমনকি ইরানে তাদের ঘরের ভেতরে পান থেকে চুন খসলেই গেল গেল শোর ওঠে ওই সব মোড়লের ঘরে। এমনকি সাত সমুদ্র পার হয়ে সেনা ও অস্ত্র পাঠিয়ে সে দেশকে ছত্রখান করতেও তার সময় লাগে না। অথচ ইসরায়েল নামের একটি বেজন্মা রাষ্ট্র, যেটি তৈরি হয়েছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঝেঁটিয়ে আনা কিছু উচ্ছিষ্ট ইহুদি দিয়ে, সেই ইসরায়েল যখন তাদের এক বালক নিখোঁজের দোহাই দিয়ে পাশের দেশে আধুনিক অস্ত্র সমন্বয়ে নিধনযজ্ঞ চালায়, তখন এই ভূগ্রহের মোড়লটি চুপ করে থাকে। দেখেও যেন কিছুই দেখে না। একটি প্রবাদ আছে- হিটলার নাকি বলেছিলেন, 'আমি ইচ্ছে করলে সব ইহুদিকে মেরে ফেলতে পারতাম। কিন্তু কিছু বাঁচিয়ে রাখলাম এই ভেবে যে বাকি দুনিয়া দেখুক আসলে ওরা মনুষ্যজাতির কত বড় কলঙ্ক।' আমরা তো তা-ই দেখছি। তাই 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয়' বলতে কি আদৌ কিছু থাকে? ইহুদিপুষ্ট আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স নামের ভেটোধারীদের কাকে নিয়ে সালিসে বসবেন? তালগাছটি বাদ দিয়েই না সালিস শুরু হবে। আসুন না, দুনিয়াজুড়ে ইহুদিদের কর্তৃত্ববাদী শিকড়কে আগে উৎপাটন করায় মনোযোগী হই। শক্তি নয়, নবী করিম (সা.)-এর প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসার জয়গান গেয়ে দুনিয়াতে শান্তির চারা রোপণ করি। তখন দেখবেন, দুনিয়াজোড়া দুষ্টচক্রের এই অপকীটগুলো অবধারিতভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।
জালাল উদ্দিন আহমেদ
তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
* গাজায় মানবতাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বিশ্ববিবেকের ঘুম ভাঙবে কবে? মানুষ মানুষকে মারতে পারে না। বিশ্ববিবেক কি তবে পরাস্ত? মুসলমানকে নয়, মানব জাতিকে রক্ষা করা প্রয়োজন। কোমলমতি শিশুদের লাশ আর দেখতে চাই না। বাবার হাতে সন্তানের লাশ খুব ভারী। যারা মারছে তারা কি সন্তানহীন? আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান অবশ্যই সম্ভব।
রুদ্র হাসান খান
কোনাবাড়ী, গাজীপুর।
* এখন চাই বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর মানবিক বিবেচনা। মূলত পশ্চিমাদের একচোখা নীতির কারণেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা টিকে আছে দশকের পর দশক। ফিলিস্তিনিদের বেলায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ঠিকমতো কাজ করতে পারে না- ইসরায়েল যা জানান দিয়েছিল ত্রাণবাহী জাহাজে হামলার মাধ্যমে। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ইসরায়েলের প্রতি প্রবল চাপ প্রয়োগ করা, যেটা জাতিসংঘের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। নতুবা নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে।
পান্না রানী তালুকদার
রামজীবনপুর, দিরাই, সুনামগঞ্জ।
* ইসরায়েলি এই বর্বর হামলার আমরা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়। পাশাপাশি জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ আন্তর্জাতিক সব সংগঠনকে এই হামলার প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাই।
রমিতা ইসলাম
কুষ্টিয়া।
* সত্যিকার অর্থেই মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে গাজাতে। টানা ১০ দিনের বিমান হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজায় এবার স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় স্থল অভিযান শুরু করতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন। গত ৮ জুলাই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ১০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে অন্তত আড়াই শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো সহস্রাধিক মানুষ। তারা চিকিৎসাও পাচ্ছে না।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এক হাজার ৩৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে।
এখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো কোথায়? কোথায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ? তাদের চোখে কি কিছুই ধরা পড়ছে না? অন্ধ ও বিবেকহীন হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এর দায় নিতে হবে। পালন করতে হবে দায়িত্বশীল ভূমিকা। যত ধরনের অবরোধ আছে, সব প্রয়োগ করতে হবে ইসরায়েলের প্রতি। প্রয়োজনে সব দেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানাব জাতিসংঘে। এই মানবিক বিপর্যয়, মানবিকতার এই পরাজয় মেনে নেওয়া যায় না।
হাসান আহমেদ মুনীর
পার্বতীপুর, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ।
* আজ আমরা দেখছি ফিনিস্তিনিদের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসবাস। উড়ে এসে জুড়ে বসে এই ইসরায়েলি ইহুদিরাই বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যখন ফিলিস্তিনে এই অমানবিক বিপর্যয় ঘটতে চলেছে একের পর এক, তখন কেন বিশ্বসম্প্রদায় নীরব ও নিশ্চুপ? অবশ্য মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
মিসরসহ মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের ওপর যুদ্ধ বন্ধের প্রতিবাদ করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেনি। জাতিসংঘ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও হামলা করে শিশুসহ ২৫০ জন নীরহ মানুষ হত্যা করল নতুন করে। ফিলিস্তিনিদের অপরাধ কী? তাদের ওপর কেন নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হচ্ছে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনা, নিন্দা, প্রতিবাদ করেছে। যদিও বিএনপি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সে যা-ই হোক, আমরা চাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে শান্তি ফিরে আসুক। আর এই রোজায় যেন আর কোনো প্রাণ না ঝরে। এই হত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক যেন জাগ্রত হয়। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো যেন রক্তপাত বন্ধের আহ্বান জানায়- আমাদের প্রত্যাশা এটাই।
ফারুক আহমেদ বাগমারা, রাজশাহী।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/motamot/2014/07/19/108467#sthash.QdXJACzt.dpuf - See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/motamot/2014/07/19/108467#sthash.QdXJACzt.dpuf
No comments:
Post a Comment