Monday, May 14, 2012

মার্কিন সামরিক স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ইসলামের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’, এমনকি মুসলমানদের জন্য অতি পবিত্র দুটি স্থান মক্কা ও মদিনায় সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলারও পক্ষপাতী।

 এমনকি মুসলমানদের জন্য অতি পবিত্র দুটি স্থান মক্কা ও মদিনায় সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলারও পক্ষপাতী

যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক স্কুলে ইসলাম সম্পর্কে যা শেখানো হচ্ছে, তা ‘সম্পূর্ণ আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। সামরিক স্কুলে পড়ানো ইসলামবিষয়ক ওই পাঠ্যসূচিকে (কোর্স) মুসলমানদের শত্রু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি সামরিক স্কুলে ওই কোর্সটি পড়ানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পাশাপাশি অন্য সামরিক স্কুলে ইসলাম সম্পর্কে কী শিক্ষা দেওয়া হয়, তা-ও খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ভার্জিনিয়ার নরফোকের জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজে ইসলামবিষয়ক ঐচ্ছিক ওই পাঠ্যসূচি এক বছর ধরে পড়ানো হচ্ছে। গত মাসে ওই পাঠে অংশগ্রহণকারী একজন সামরিক কর্মকর্তা প্রথমবারের মতো এ নিয়ে অভিযোগ করেন। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পাঠ্যসূচিটি কীভাবে অনুমোদন পেল এবং কী কারণে এটি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হলো, এখন এর তদন্ত চলছে।
জেনারেল ডেম্পসি ওই পাঠ্যসূচি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতার যে বিষয়টি মার্কিন সমাজ মর্যাদা দিয়ে আসছে, এটি সেই মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং এটি আপত্তিকর, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন।’
ইসলামবিষয়ক ওই পাঠ্যসূচি সারা বিশ্বের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ বিষয়টি সমর্থন করে। এমনকি মুসলমানদের জন্য অতি পবিত্র দুটি স্থান মক্কা ও মদিনায় সম্ভাব্য পারমাণবিক হামলারও পক্ষপাতী। এ ছাড়া পাঠ্যসূচিতে এমনভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা ভাবতে বাধ্য হবেন, ইসলাম সরাসরি তাঁদের শত্রু।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন স্বীকার করেছে, পাঠ্যসূচিতে ‘কিছু অস্বাভাবিক’ বিষয় রয়েছে। বিবিসি।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-05-12/news/256988


পাঠকের মন্তব্য
MAMUN AHMED
MAMUN AHMED
২০১২.০৫.১২ ০৬:০২
অবাক হওয়ার মতো নয়, স্বাভাবিক খবর এটা । পৃথিবী থেকে ''শান্তি''
নামের জিনিষ টা ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে ।

Md. Rabiul Islam
Md. Rabiul Islam
২০১২.০৫.১২ ০৮:৪০
All credits go to Saudi Arabia and its King and the people of the country who support such a country that teaches to destroy two shrine places located in its heart.

Akashchowdhury
Akashchowdhury
২০১২.০৫.১২ ০৯:৪৭
এই একই কাজ যদি কোন মুসলিম দেশ করতো তাহলে তাকে আখ্যা দেয়া হতো চরম সন্ত্রাসী এবং জংগী। অথচ তারা তাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে শিক্ষা দিচ্ছে ইসলাম এবং মুসলিম হচ্ছে তাদের সরাসরি শত্রু। একজন মুসলমান যদি কোন একজনকে হত্যা করে তাহলে সে হয় জংগী, ইসলামী সন্ত্রাসবাদী আর খ্রীষ্টানরা করলে হয় সেটা অপরাধ। সন্ত্রাসবাদের সংগাই তারা পাল্টে দিয়েছে লাদেন নামের এক চরকে দিয়ে।

firoz ahmed
firoz ahmed
২০১২.০৫.১২ ১০:৪৩
And they say "Muslims" are less tolerant...

Md Alauddin
Md Alauddin
২০১২.০৫.১২ ১২:০৫
This is the time to think, what they think about Islam...............

shahan
shahan
২০১২.০৫.১২ ১৩:৫৬
bangladeshi amiricar dalalra akon kutai, jara usama bin laden ke galagali koren.deken amiricate tader patto pustoke islamer birudde juddo gushona kortese.

Muzahidul Islam Mazumder
Muzahidul Islam Mazumder
২০১২.০৫.১২ ১৪:০৪
Muslim beaware.

ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান
ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান
২০১২.০৫.১২ ২১:০৬
এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। এই দিনেরে নিবে মুসলিম সেই দিনের (ইসলামের স্বর্ণ-যুগ) কাছে।

Sufian Khan Farhan
Sufian Khan Farhan
২০১২.০৫.১২ ২২:৩৮
জানি এ নিয়ে কোন আলোচনা হবে না, হবে না প্রতিবাদ, হবে না লেখালেখি, আসবে না ফেসবুক জুড়ে স্ট্যাটাস, আসবে না কোন ব্লগের মূল পোষ্টেও....আজকের পরে এই সংবাদ হারিয়ে যাবে.।
কোন কিছুতেই আসার দরকার নেই, কথা বলারও দরকার নেই।

No comments:

EID MUBARAK to everybody