Tuesday, May 8, 2012

আমরা নাকি দুই নম্বর মেয়ে!

ওপরের কথাটি এখন চট্টগ্রামের দক্ষিণ হালিশহরে অবস্থিত দেশের প্রথম ইপিজেডের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিদেশি মালিকানাধীন ও শ্রীলঙ্কান ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক পরিচালিত তৈরি পোশাকশিল্প কারখানার মহিলা শ্রমিকদের প্রতিদিন শুনতে হচ্ছে কর্মস্থলে কাজ করতে গিয়ে। সিইপিজেডে অভ্যন্তরে বেশির ভাগ পোশাকশিল্প কারখানায়ই নিত্যদিন মহিলা শ্রমিকদের নানা রকম অকথ্য গালাগাল, অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতনও সহ্য করতে হয়। এসব কারখানার মধ্যে আইএসও সনদপ্রাপ্ত এবং শ্রীলঙ্কানদের ব্যবস্থাপনাধীন প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
বাংলাদেশি সুপারভাইজার, ইনচার্জ, ওয়ার্কস্ট্যাডি, সহকারী কোয়ালিটি ম্যানেজার পদের লোকদের কাছ থেকে শ্রীলঙ্কানরা বাংলা ভাষার গালি শিখে নিয়েছে। উৎপাদন লাইনে কাজ করতে গিয়ে কোনো ভুল হলে কিংবা সমস্যা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই মেয়েকে শুনতে হয় 'দুই নম্বর মেয়ে' ইত্যাদি চরম অশালীন ভাষা ও শব্দ। কিছু বাংলাদেশি নিজেদের বেতন-ভাতা ও সুবিধা বাড়িয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে শ্রীলঙ্কান কর্তাব্যক্তিদের বাংলায় গালাগাল করার জন্য কিছু ভাষা শব্দ শিখিয়ে দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কান কর্তাব্যক্তিদের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড এত বেড়ে গেছে যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওরা জাত ধরে গালাগাল করে রুমে ডেকে নিয়ে। প্রচলিত আছে, এসব শ্রীলঙ্কান লোক শুধু ড্রাইভার ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে চাকরি করতে এসে অবৈধভাবে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সিইপিজেডের কারখানাগুলোতে ম্যানেজার, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার, অ্যাডভাইজার, ডিরেক্টর ইত্যাদি উচ্চ ও লাখ লাখ টাকার বেতনের পদে চাকরি করে যাচ্ছে।
লীনা ফেরদৌসী
উত্তর হালিশহর, চট্টগ্রাম।

No comments:

EID MUBARAK to everybody